সংক্ষিপ্ত
গরুপাচারকাণ্ডে ক্রমশই বিপদ বাড়ছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার। মঙ্গলবার বীরভূমে নতুন করে আরও প্রচুর সম্পত্তির সন্ধান পেল সিবিআইকর্তারা। বোলপুর জমি রেজিস্ট্রি অফিসেও তাঁরা খোঁজ নিয়েছেন
গরু পাচারকাণ্ডে ক্রমশই বিপদ বাড়ছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার। মঙ্গলবার বীরভূমে নতুন করে আরও প্রচুর সম্পত্তির সন্ধান পেল সিবিআইকর্তারা। বোলপুর জমি রেজিস্ট্রি অফিসেও তাঁরা খোঁজ নিয়েছেন। সূত্রের খবর অধিকাংশই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার নামে নথিভুক্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গরবার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে যান সিবিআই কর্তরা। তাঁদের মূল উদ্দশ্যই ছিল অনুব্রত মণ্ডল তাঁর মেয়ে বা অত্মীয়দের নাম কতটা জমি কিনেছেন বা রেখেছেন তা খতিয়ে দেখা। তল্লাশি অভিযানের পরই দেখা যায় মেয়ের নামে প্রচুর জমি নথিভুক্ত রয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর বোলপুরের বল্লভপুরে ০.৬২ একর সম্পত্তিরর সন্ধান পাওয়া গেছে। যেটি রেজিস্ট্রি রয়েছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে। এছড়াও চালকলসহ একাধিক সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষিকা সুকন্যার নামে। তাতেই সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান ২০১১ সালের পর থেকে দ্রুত গতিতেই বেড়েছে সুকন্যাসহ অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পরিমাণ।
সিবিআই সূত্রের খবর এদিন আধিকারিরকা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট বিদ্যুৎবরণ গায়েন ও দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণও খতিয়ে দেখেন। তাঁরা দেখেন ২০১১ সালের পর এদেন নামে কী কী সম্পত্তি কীভাবে কেনা হয়েছে। আগেই এই দুই ব্যক্তির বাড়়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই কর্তারা। সূত্রের খবর সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। সেই সব নথির সঙ্গেই সম্পত্তির তালিকা মিলেয়ে দেখতেই এদিন বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দেয় সিবিআই-এর একটি দল।
বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। নিজাম প্যালেসে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এখনও তেমনভাবে অনুব্রত সিবিআই কর্তাদের তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তবে সিবিআই-এর হাতেও যে গরুপাচারকাণ্ডের যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। বুধবার অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে ফের পেশ করা হবে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। তার আগেই যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে কর্তরা।
অন্যদিকে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক চিঠিটি পেয়েছেন। আর সেই চিঠিতে খোদ বিচারককেই ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। 'অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিতে হবে না হলে আপনাকে ও আপনার গোটা পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।' এটাই ছিল চিঠির বয়ান। গত ২০ অগাস্ট তিনি হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি অভিযোগও দায়ের করেছেন। চিঠির প্রেরক হিসেবে লেখা রয়েছে বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
'অনুব্রতকে জামিন দিন নয়তো...', হুমকি চিঠি পেলেন খোদ সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক
'জুতো-কাণ্ডের জের', এবার থেকে SSC মামলায় ভার্চুয়াল হাজিরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের