সংক্ষিপ্ত

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তদন্তকারীদের একটি দল মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর ড্যামি মডেল নিয়ে মেন হোস্টেলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রের খবর নিহত ছাত্রের ওজন আর উচ্চতা অনুযায়ী ড্যাামিটি তৈরি করা হয়েছে।

 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত ছাত্রের ড্যামি নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলের তিন তলায় ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতেই এদিন আবারও তদন্তকারীরা সেখানে যায়।

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তদন্তকারীদের একটি দল মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর ড্যামি মডেল নিয়ে মেন হোস্টেলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রের খবর নিহত ছাত্রের ওজন আর উচ্চতা অনুযায়ী ড্যাামিটি তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর পুলিশ দেখতে চাইছে অভিশপ্ত সেই রাতে স্বপ্নদীপের সঙ্গে ঠিক কী কী ঘটেছিল। স্বপ্নদীপকে তিন তলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল , নাকি সে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছিল তাই সঠিক করে জানতে চাইছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ খতিয়ে দেখছে ব়্যাগিংএর শিকার স্বপ্নদীপকে কি বারান্দার রেলিং দিয়ে হাঁটতে বলা হয়েছিল আর সেই সময়ই সে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। সবদিকগুলি খতিয়ে দেখতেই পুলিশ নিহত ছাত্রের ড্যামি নিয়ে পরীক্ষা করে এদিন।

স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কখনও একত্রে জেরা করা হয়েছে। কখনও আবার আদালা আলাদা জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের হাতেও এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সবকিছু মিলিয়ে দেখতে পুলিশ এদিন ফেল মেন হোস্টেলে গিয়েছিল। এর আগে শুক্রবারও অভিযুক্তদের পৃথক পৃথকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলে এনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল গোটা ঘটনার। তার রিপোর্টের সঙ্গে এদিন ড্যামি এনে পুলিশ নিজেরাই পরীক্ষা করে সবকিছু মিলিয়ে দেখে। দলে ছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞও।

পুলিশ সূত্রের খবর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের বয়ানের মধ্যে কিছু ফারাক রয়েছে। যার জন্য এখনও রহস্যের কয়েকটি জট ছাড়াতে পুলিশের সমস্যা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় যেহেতু পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে তাই সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় পুলিশ। তাই বারবার পরীক্ষার ওপরই জোর দিচ্ছে তদন্তকারীরা।

নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। হোস্টেলে আসার দিন রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ৯ অগাস্ট অর্থাৎ বুধবার তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পরের দিন সকালে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ব়্যাগিংএর কারণে স্বপ্নদীপকে হত্যা করা হয়েছে বলেও মনে করেছে তদন্তকারীরা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০জনেরও বেশি আটক করা হয়েছে। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন ছাত্র। তবে প্রাক্তন ছাত্ররা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ

ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি, আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের কাছে

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য, সোমবার হতে পারে শুনানি

ওয়ার্কিং কমিটিতে শচীন পাইলট, শশী থারুর সঙ্গে জায়গা পেলেন দীপা দাশমুন্সী- ৫০এর নিচে তিন মুখ