সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন আনা যায় কিনা, জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব কিনা, তা পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 

শহর কলকাতার গুটখা বা পানের পিক ফেলে যেখানে সেখানে নোংরা করার ছবি আকছার দেখা যায় । বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি অফিসের দেওয়ালেও লাল ছোপ ছোপ এই নোংরা করার চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যায়। যা একপ্রকার দৃশ্যদূযণ। বহুবার এবিষয়ে লেখালেখি হলেও সচেতনতার আঁচ এতটুকুও পড়েনি। এবার মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে নজর দেওয়ার কথা জানাতেই একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, গুটখার পিক যেখানে সেখানে ফেললে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা । এই পিক ফেলার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন আনা যায় কিনা, জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব কিনা, তা পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র জানালেন,আমরা একটা আইন আনার চেষ্টা করছি। যেখানে সেখানে পানের পিক ফেলছে, প্রস্রাব করছে অনেকেই। ময়লা ফেলে দেওয়া হচ্ছে যত্রতত্র। এ বিষয়ে আইন আগেই ছিল, সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরও যোগ করে বলেন, যদি গাড়ি থেকেও কেউ পিক ফেলে দেন তবে সেই গাড়িকেও জরিমানা করা হবে। তার জন্যও আইন আনতে হবে বলে জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

শহর কলকাতার যত্রতত্র গুটখা বা পানের পিক ফেলে সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায় । তাদের মধ্যে যেন সচেতনতার ছোঁয়াটুকুও দেখা যায় না । তাছাড়া পথেঘাটে যেখানে সেখানে প্রসাব করার মানুষও চোখে পড়ে । খোলা জায়গায় প্রস্রাব করার ফলে ঝাঁঝালো গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে যায়। আর এতে অস্বস্তি বাড়ে পথচলতি মানুষদের।এই অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অভিযোগ কম হয়নি। আইন থেকে গেছে আইনের মতো, নোংরা করার প্রবণতাও থেকে কখনোই সরে আসেনি সচেতনত মানুষেরা। আইন ছিল, এবার সেই আইনকেই বাস্তবে রূপ দিতে এবার তৈরি হচ্ছে কলকাতা পুরসভা।

এই বিষয়ে জেনে রাখা দরকার, ২০০১ সালেই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। 'দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোহিবিশন অফ স্মোকিং অ্যান্ড স্পিটিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ হেল্থ অফ নন-স্মোকারস অ্যান্ড মাইনর অ্যাক্ট, ২০০১' অনুসারে, প্রথমবার প্রকাশ্যে থুতু বা গুটখার পিক ফেললে ১,০০০ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে সেই জরিমানার পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D