- Home
- West Bengal
- Kolkata
- সুপ্রিম কোর্টে ফের হতাশ বাংলার সরকারি কর্মীরা! তাহলে কি পাল্লা ভারী হচ্ছে নবান্নের?
সুপ্রিম কোর্টে ফের হতাশ বাংলার সরকারি কর্মীরা! তাহলে কি পাল্লা ভারী হচ্ছে নবান্নের?
সোমবারও হল না। ফের জটে আটকে রইলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। যত সময় এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা মামলার জট যেন বেড়েই চলেছে। এই মামলা নিয়ে জলঘোলার শেষ নেই। আজও সুপ্রিম কোর্টে ছিল মামলার শুনানি। কিন্তু ফের ধাক্কা খেতে হল সরকারি কর্মীদের।

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ডিএ মামলা। আর এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কর্মরত এবং সরকারি পেনশনভোগীদের অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ারই নাম নিচ্ছে না। বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালতে আবারও একবার পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি
সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এদিন এই মামলার শুনানি ছিল। অন্যান্যবারের মতো এবারেও মামলাকারী সরকারি কর্মীরা আশাবাদী ছিলেন যে এবার হয়তো তাঁদের পক্ষে রায় দেবেন বিচারপতি। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ফের একবার পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। অর্থাৎ আবারও নতুন দিনের অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।
সোমেও সুপ্রিম কোর্টে হল না মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মামলার শুনানি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হাইভোল্টেজ ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার এই মামলা বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চে উঠবে। এই নিয়ে পরপর তিনবার শীর্ষ আদালতে পিছল মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলা।
ফের বাড়ল অপেক্ষা। ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। সোমবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে ওঠার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জানিয়েছিল, ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। তবে সেই নির্দেশ না মেনে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সরকারি কর্মীদের আশা এবারে ১০০% ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে আদালত। তবে দিন দিন তাঁদের অপেক্ষা সমানে বাড়ছে।
প্রথমে ২৬শে অগাষ্ট মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দ ছিল। এর কারণ এদিনের শুনানিতে বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতির পরিবর্তন হয়েছে। প্রশান্ত মিশ্রর জায়গায় এসেছেন সন্দীপ মেহতা। যদিও তিনি এর আগে বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের সঙ্গে ডিএ মামলা শুনেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি মিশ্রর মতো মামলার খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁর ধারণা কম। সেইজন্য নতুন করে এই মামলা আবারও একবার পিছিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জানিয়েছিল, ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। তবে সেই নির্দেশ না মেনে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সরকারি কর্মীদের আশা এবারে ১০০% ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে আদালত। তবে দিন দিন তাঁদের অপেক্ষা সমানে বাড়ছে।
দীর্ঘ ডিএ মামলা
এই বকেয়া ডিএ মামলা বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেডলাইন ছিল ২৭ জুন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই নির্দেশ সময়ের মধ্যে পালন করতে ব্যর্থ হয়। সরকারি কর্মীরা আগেই জানিয়েছিলেন যে সরকার যদি ডিএ প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এই বিষয়ে দুইটি অবমাননার মামলা করাও হয়েছিল।
আজ সেই ডিএ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেটা আবারও পিছিয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সরকারি আধিকারিকরা। আদৌ তাঁরা আর কোনওদিন বকেয়া ডিএ তাঁরা পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

