সংক্ষিপ্ত

সম্প্রীতির বাতাবরণেই ছটের উৎসবে মাতল মুর্শিদাবাদে । ছট পুজোয় অবাঙালি পুণ্যার্থীরদের সুবিধে করে দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি সংখ্যালঘু মুসলিম বাঙালি ভাইরাও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে এলেন।

 

সম্প্রীতির বাতাবরণেই ছটের উৎসবে মাতল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) । ছট পুজোকে ঘিরে গা ভাসাতে দেখা গেল সংখ্যালঘু অধ্যুষ্যিত মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকার মানুষকে। আর সেই অবাঙালি  পুণ্যার্থীরদের সুবিধে করে দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি সংখ্যালঘু মুসলিম বাঙালি ভাইরাও (Minority Muslim Bengalis) উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে এলেন।

আরও পড়ুন, Chhath Puja 2021- ছট পুজো নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে শহরে, ১৭০ ঘাটে এলাহি ব্যবস্থা পুরসভার

'বহু মানুষকে সহযোগিতা করি, এটাই এখানকার বিশেষত্ব', বার্তা গোলাম শেখের

জিয়াগঞ্জ নিমতলা ঘাট হোক বা বহরমপুর সদর শহরের গোরাবাজার কলেজ ঘাট, খাগড়া গোপালঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটের ছবিটা ছিল প্রায় একই। পূজা উপলক্ষে কিছু কিছু পূর্নার্থী দন্ডি কেটে ঘাটে আসছেন। সূর্য্যদেবকে উদ্দেশ্য করে এই পূজা বলে কথিত আছে। অসংখ্য মানুষ  বিভিন্ন ঘাটে ভিড় জমান। পূর্নার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে জেলার পুলিস প্রশাসনের উপস্থিতিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। ঢাকঢোল বাজিয়ে, নতুন জামা কাপড় পড়ে উপবাস থেকে অনেকে এই পূজা করতে আসেন। জলে নেমে সূর্য্য দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা শেষে তারপর শুরু হয় প্রসাদ বিতরন।এই ব্যাপারে গোলাম শেখ বলেন,'এটা আমাদের কাছে নতুন বলে কিছু মনে হয়না আলাদা করে।কারণ আমরা প্রতি বছরই বহু মানুষকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া থেকে অন্যান্ন নান রকমের সহযোগিতা করি,এটাই এখানকার বিশেষত্ব'।এই ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরের প্রায় সমস্ত গঙ্গার ঘাটে প্রচুর পুণ্যার্থীরা জড়ো হন। সেজন্য প্রতি ঘাটে আলোর ব্যবস্থা করা ছাড়াও গঙ্গা থেকে ফুল ও পুজোর বিভিন্ন উপাচার তোলার জন্য বহরমপুর পুরসভার জঞ্জাল দফতরের কর্মীদের নামানো হয়। সব জায়গাতেই রাখা হয় পুলিশের ব্যাবস্থা৷

আরও পড়ুন, Tathagata Roy: 'অর্থ ও নারী চক্রে জড়িয়েছে BJP', বিস্ফোরক টুইট করতেই তথাগতর বিরুদ্ধে FIR

'আমরা এখানে মিলে মিশেই উৎসব পালন করি, এটাই আমাদের জেলার ঐতিহ্য'-আলম শেখ

ছটে   সূর্য দেবের উপাসনায়  তিনদিন উপোষ থাকার সঙ্গে পরে  ভক্তদের অনেকেই  দণ্ডী কেটে গঙ্গার ঘাট পর্যন্তও যান। বৈকাল গড়িয়ে সন্ধ্যায়  গঙ্গার জলে গলা অবধি ডুবে পশ্চিম আকাশে সূর্যের অস্ত যাওয়া পর ফের পরের দিন ভোররাতে আবার একই ভাবে সূর্য কে উঠার আহ্বান জানান পুণ্যার্থী কুল।জেলারলালবাগ,সামসেরগঞ্জ,বহরমপুুুর এলাকায় বেশ কয়েক ঘর অবাঙালি বিহারীরা চুটিয়ে ছটের আনন্দ পরিবারের সাথে উপভোগ করেন।এই ব্যাপারে এক ভক্ত রাজু যাদব বলেন,"আমরা এখানে কখন নিজেদের আলাদা করে অবাঙালি বলে ভাবনা,তাই ছট হোক বা দুর্গা সবেতেই সকলের সঙ্গে মেতে উঠি, ভোর রাতে আমরা  একই রকম ভাবে জলে নেমে সূর্য্য দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা করে তারপর হবে প্রসাদ বিতরন করছি"।লালবাগ এলাকার যুবক আলম শেখ বলেন,'আমাদের জেলার এটাই ঐতিহ্য আমরা এখানে সকলকে মিলে মিশেই উৎসব পালন করি।যারা দূর দুরন্ত থেকে আসছে তাদের গঙ্গার পাড়ে খোলামেলা পরিবেশে বসার সু ব্যবস্থা সাধ্য মত করে দিচ্ছি।কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে"।অন্যদিকে তৃনমুল পরিচালিত বহরমপুর পুরসভার কো-অর্ডিনেটর নাড়ু গোপাল মুখার্জি বলেন,"বহরমপুর পুরসভা সব ঘাট গুলিতে আগাম সতর্কতা নিয়ে রেখেছে,যাতে কাউর সেখানে কোনও অসুবিধে না হয়।'

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player