সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গে
- ফের শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার পড়ল
- ঘটনাস্থল, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা
- চাঞ্চল্য ছড়াল জেলার রাজনৈতিক মহলে
কৌশিক সেন. রায়গঞ্জ: যতদিন যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে অস্বস্তিও ততই বাড়ছে তৃণমূলের। দক্ষিণবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে এবার পরিবহণমন্ত্রীর সমর্থনের পোস্টার পড়ল উত্তরবঙ্গেও। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুন, ব্যাপক বোমাবাজিতে উত্তপ্ত জগদ্দল
বিধানসভা ভোটের মুখে কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মতগতি এখন বোঝা দায়। তাঁকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, লকডাউনের আগে থেকে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। দলের ব্য়ানার ছাড়াই একের পর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তিনি। এমনকী, শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে পৃথক সভা থেকে না নাম করে পুরমন্ত্রী ফিরদাদ হাকিমের সঙ্গে বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন প্রান্তে 'আমরা দাদার অনুগামী' বলে পোস্টার লাগিয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের অনুগামীরা। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল উত্তরবঙ্গেরও।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মালদহের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু
উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে একটি পোস্টার নজরে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই পোস্টারে লেখা, 'শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন, আছেন, থাকবেন আমাদের হৃদয়ে', সমর্থনের দাদার অনুগামীরা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তাহলে এবার উত্তর দিনাজপুরেও তৃণমূলের অন্দরে মাথাচাড়া দিল গোষ্ঠীকোন্দল? মানতে নারাজ দলের ডালখোলা শহর কমিটির সম্পাদক তনয় দে। তাঁর বক্তব্য, একসময়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে জেলায় তাঁর কিছু অনুগামীও তৈরি হয়েছে। দল যতক্ষণ না তাঁর ব্যবস্থা নিচ্ছে, ততক্ষণ শুভেন্দু তৃণমুলের নেতা।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় কথা বসেছেন দলের শীর্ষ নেতা। এমনকী, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পরিবহণমন্ত্রীর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি বিশেষ। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি কোন গড়ায়, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।