সংক্ষিপ্ত

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছিলেন, ডিয়ার লটারির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গই প্রশাসনিক মহলে মাথা চাড়া দিল আরও একবার।

ডিয়ার লটারিতে তৃণমূল নেতাদের বড় অঙ্কের টাকা জেতা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছিলেন, ডিয়ার লটারির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গই প্রশাসনিক মহলে মাথা চাড়া দিল আরও একবার। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুরুর দিকেই ডিয়ার লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। টাকার বিষয়ে সেসময়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, লটারির টিকিট কেনার কথা তিনি সরাসরি অস্বীকার না করে বরং কার্যত এড়িয়েই গিয়েছিলেন সেবিষয়ের সমস্ত প্রশ্ন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য দাবি করেছিল যে, তাঁর নামে লটারির টিকিট কেনার কথা তিনি জানতেনই না। এরপর তিনি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন, দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত সাপেক্ষে এবার সেই লটারি জেতার টাকার দিকে বিশেষ নজর দিল সিবিআই।

কেষ্ট মণ্ডলের লটারি লাভের টাকাও এবার সিবিআই-এর আতশকাচের তলায়। সূত্রের খবর, ২ নভেম্বর, বুধবারই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বোলপুরের লটারির ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল সকাল নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য হাজিরও হয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, বোলপুরের এই লটারি ব্যবসায়ীর দোকান থেকে বিক্রি হওয়া টিকিটেই এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই লটারির টিকিট অনুব্রত মণ্ডলই কেটেছিলেন, নাকি অন্য কেউ, ওই ব্যবসায়ীর থেকে স্পষ্ট জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডল নন, দিন কয়েক আগে উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রীও ওই একই সংস্থার লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন। এর পাশাপাশি, বীরভূমের আর এক তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও এক কোটি টাকা জিতেছিলেন লটারির টিকিট কেটেই।

সেই সূত্রেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছিলেন, ডিয়ার লটারির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। বাংলায় লটারির টিকিট বিক্রির নামে কেলেঙ্কারি চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ লটারি বিক্রেতাকে সিবিআই তলব করায় আরও একবার চাগাড় দিয়ে উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-যোগের সন্দেহ।

 

আরও পড়ুন-
মেলা নয়, আগে ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে হবে: শ্রমমন্ত্রীকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘গুজরাটের ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্ত হবে, কিন্তু পোস্তা ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় কে শাস্তি পেল?’ তৃণমূলকে কড়া প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের
গুজরাটের ব্রিজ ভাঙার আঁচ বাংলাতেও, কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন পূর্বস্থলীর যুবক