BJP On Sir Issues: এসআইআর নিয়ে বাড়ি বাড়ি তথ্য যাচাইয়ের আগেই বিতর্কে খোদ বিএলও আধিকারিক। তুঙ্গে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

BJP On Sir Issues: নদিয়ার শান্তিপুরে SIR ইস্যুকে ঘিরে ফের বি.এল.ও–দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে SIR সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা তাদের। অথচ শান্তিপুরের জন উদ্যোগ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের SIR বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন এক BLO প্রসেনজিৎ সাহা।

কী অভিযোগ উঠেছে?

সম্প্রতি শহরে SIR–এর বিরুদ্ধে কুশপুতুল দাহ করেন সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, সেখানে মাইক হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে SIR ও NRC বিরোধিতা করেন ওই শিক্ষক তথা BLO। এরপরই মাঠে নামে বিরোধী দল বিজেপি। নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা মুখপাত্র সোমনাথ কর প্রশ্ন তোলেন— নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত একজন BLO যদি প্রকাশ্যে SIR–এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তাহলে তিনি কীভাবে নিরপেক্ষভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করবেন?

বিজেপির দাবি, নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে এই আচরণ শৃঙ্খলাভঙ্গ। প্রয়োজনে অভিযোগ পেলে কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ কমিশনের নিয়মে বলা আছে— BLO হঠাৎ ইচ্ছেমতো পদত্যাগ করতে পারেন না, কাজ ঠিকমতো না করলে শোকজ থেকে জেল পর্যন্তও হতে পারে।

অভিযুক্ত BLO প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, তাঁর সামাজিক মতামত ও দায়িত্ব আলাদা। তিনি SIR–এর বিরোধী হলেও কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করবেন। দুটো বিষয় ইচ্ছে করে এক করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। এদিকে প্রশ্ন উঠছে, যিনি নিজেই SIR বিরোধিতায় সরব, তিনি কতটা নিরপেক্ষভাবে সাধারণ মানুষের তথ্য নথিভুক্ত করবেন? আগেও কয়েকজন BLO–কে শোকজ ও তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়েছে— এবার এই ঘটনায় নতুন বিতর্কে সরগরম রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের বাদ্যি এখনও পুরোপুরি বাজেনি। কিন্তু এরই মধ্যেই রাজ্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। যার মূল হাতিয়ার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে দুই দলের নেতাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সাংসদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হল নতুন বিতর্ক। রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ বললেন তাঁরা জিতলে তৈরি হবে অখণ্ড বাংলাদেশ।

রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন, এবার যদি তাঁরা জেতেন তাহলে আবারও অখণ্ড বাংলাদেশ হবে। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া আর থাকবে না। তিনি বলেছেন,'আমরা কথা দিচ্ছি একবার যদি আমরা জিতি বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া আর রাখব না। এক ছিল, আগামী দিনে এক হয়ে যাবে। ঠিক তেমনই যদি তৃণমূল কংগ্রেস জেতে, সেক্ষেত্রে বেড়া থাকবে না। কিন্তু সেটা বাংলাদেশ হয়ে যাবে।' তবে বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। দলেরই একাংশের মনে ভোটের আগে এমন বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূলের হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়ার সামিল। অন্যদিকে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।