সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা বিএসএফএর আইজি এসএস গুলেরিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভোটে অশান্তিতে তাদের কোনও দায় নেই।স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই দেয়নি রাজ্য ।
পঞ্চায়েত ভোটে যাতে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, অশান্তি বা প্রাণহানির মত ঘটনা না ঘটে সেইজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিলেন ভোটার ও ভোট কর্মীরাও। রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাম - কংগ্রেস-বিজেপিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিল। বাধ সেধেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু আইন-আদলত হয়ে শেষপর্যন্ত রাজ্যে পা রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা রোখা যায়নি। ভোটে হিংসার বলি ১৯ জন। যদিও কমিশনের খাতায় মৃতের সংখ্যা ১০ ছাড়ায়নি। এই অবস্থায় রাজ্যে ভোটে অশান্তি আর হানাহানি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপানোর খোলা শুরু হয়েছে।
রবিবার রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা বিএসএফএর আইজি এসএস গুলেরিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভোটে অশান্তিতে তাদের কোনও দায় নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে সব স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল সেখান থেকে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিএসএফ এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এসএস গুলেরিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করার জন্য সংবেদনশীল ও অত্যান্ত সংবেদনশীল ভোট কেন্দ্রের তালিকা তাদের দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, বিএসএস রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে স্পর্শকাতর আর অতি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই ধরনের কোনও বুথের তালিকা তাদের দেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলায় ত্রিস্ত্রতীর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ব্যাটল পেপার লুঠপাট করা হয়েছে, ব্যালটে কারচুপি করা হয়েছে, ব্য়ালট পেপারের ক্ষতি ও হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বুথ দখল আর দেদার ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধেই বিএসএফ মোতায়েন কপরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার দাবি ২৫টি রাজ্য থেকে সেন্ট্রাস আর্মড পুলিশ ফোর্স ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের ৫৯ হাজার জওযান উপস্থিত ছিল এই রাজ্যে। কিন্তু তাদের কোনও সংবেশনশীল ভোটকেন্দ্রে পাঠান হয়নি। ওই জাতীয় ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যাপ্ত ব্যবহার করা হয়নি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন মোট ৬১ হাজার ৬৩৬টি পোলিং বুথ তৈরি করেছিল। আর নিরাপত্তার জন্য CAPF ও রাজ্য পুলিশ বাহিনীর ৫৯ হাজার কর্মী শনিবার রাজ্যে উপস্থিত ছিল। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও সমস্ত ব্যালয় বাক্সগুলি CAPF এর তত্ত্বাবধানে রাজ্যের ৩৩৯টি স্ট্রংরুমে নিরাপদে রাখা হয়েছে। ভোট গণনা শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার।
আরও পড়ুনঃ
'পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তাক্ত হল মুখ্যমন্ত্রী মমতার হাত', ভোটের হিংসা নিয়ে তোপ অধীরের