West Midnapore News: ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে চিন্তায় মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী বৃদ্ধ। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
West Midnapore News: SIR আতঙ্কে আত্মঘাতী এক বৃদ্ধ। পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতালি থানার কোরা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা খিতিশ মজুমদার (৯৫) প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন ইলামবাজারের স্কুলবাগান সুভাষপল্লীতে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মেয়ের কাছেই থাকছিলেন। কিন্তু গত রাত্রে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা — নিজ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পরিবারের লোকের দাবি কী?
পরিবারের অভিযোগ, “SIR আতঙ্ক”-ই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি বারবার বলতেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই, তাহলে কি আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে? এই আতঙ্কই তাঁকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে কাবু করে দেয়।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে খিতিশ বাবুর পরিবার পশ্চিমবঙ্গে এসে মেদিনীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ভোটার তালিকায় নামও ছিল, ভোটও দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আশেপাশের মানুষজনের মুখে শোনা — “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে”— এই কথাই গভীর ভয় সৃষ্টি করে তাঁর মনে।
পরিবারের দাবি, সেই ভয় থেকেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন খিতিশ মজুমদার। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার ও এলাকায়। সবাই একবাক্যে বলছেন — "একটি ভুল ধারণা, একটি আতঙ্ক — শেষ করে দিল এক প্রবীণ মানুষের জীবন।"
অন্যদিকে, রাজ্যে এস আই আর চলাকালীন ভোটার তালিকায় গড়মিল। জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ। জীবিত ব্যক্তির ভোটার তালিকায় তার নামের পাশে লেখা রয়েছে ডিলিটেড। অথচ বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন তিনি। মালদহের চাঁচল শহরের থানাপাড়া এলাকার ঘটনা। চিন্তায় ঘুম উড়েছে ওই ব্যক্তির। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ঘটনা সামনে আসতেই একে অপরের দিকে দায় ঠেলেছে তৃণমূল বিজেপি।
কী অভিযোগ উঠেছে?
জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল থানাপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল দাস। পেশায় তিনি একজন ভ্যানচালক। সম্প্রতি ভোটার তালিকা যাচাই করতে গিয়ে তার চক্ষু চড়ক গাছ। ভোটার তালিকায় শ্যামল বাবুকে মৃত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তার নামের পাশে লেখা রয়েছে ডিলিটেড। অথচ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিয়েছেন।
কিন্তু হঠাৎ করে ভোটার তালিকায় তাকে মৃত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই ঘটনার পরই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন শ্যামল বাবু। গোটা ঘটনাটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দফতরে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি। আর গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


