TMC Leader Death News: একুশে জুলাইয়ের আগে ফের জেলায় খুন তৃণমূল নেতা। ঘটনায় আটক একজন। তবে কী কারণে এই খুন তা  নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Birbhum News: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ। বোমার আঘাতে মৃত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী। জখম দুজন। অভিযোগ, তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাইতুল্লা শেখ। তিনি বীরভূমের ময়ুরেশ্বর -১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শাকিলা বিবির স্বামী। তাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের মল্লারপুর থানার বিশিয়া গ্রামে।

জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের কয়েক ঘন্টা আগে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত আটটা নাগাদ বীরভূমের মল্লারপুর থানার বিশিয়া গ্রামে একটি চায়ের দোকান থেকে যখন ফিরছিল বাইতুল্লা শেখ। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি বোমা মারে। সেই বোমায় গুরতর জখম হন বাইতুল্লা সেখ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা কি উদ্দ্যেশে বোমা মেরে খুন করল সেই বিষয়টি তদন্ত করছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।

এদিকে একুশে জুলাইয়ের মাত্র চব্বিশ ঘন্টা আগে বীরভূমে তৃণমূল নেতা খুনে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। তবে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার পর শনিবার রাতেই বিশাল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তারপর রাতেই একজনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ কর হচ্ছে।

সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের উপর নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর। ঘটনার আসল কারণ জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে তাও জানার চেষ্টা চলছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, স্টেশনে GRP-র সিভিকের সঙ্গে যুবকের বচসা! ঘটনায় বাদ গেলো যুবকের আঙুলের উপরের অংশ! ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার সমুদ্রগড় রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি-র সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে বচসার জেরে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শনিবার স্টেশনে বসে ফোনে ভিডিও দেখছিলেন এক যুবক। সেই সময় দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার আচমকাই এসে তাঁর হাত থেকে ফোনটি কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। এরপর যুবককে টানতে টানতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

অভিযুক্তদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় যুবক প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁর এক হাতে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তাতেই তাঁর এক আঙুলের উপরাংশ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন ওই যুবক। ঘটনার পরই সমুদ্রগড় স্টেশনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালনা GRP ও নাদনঘাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তৎপরতার সঙ্গে নাদনঘাট থানার আইসি-র গাড়িতে করে আহত যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।