Kali Puja 2025: কালীপুজোর সময় রাজ্যে ফের মৌলবাদীদের দাপটের অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip)। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ভিডিও শেয়ার করে পুলিশ-প্রশাসনকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

DID YOU
KNOW
?
ফের মূর্তি ভাঙা
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে একই অভিযোগ উঠল।

Diwali 2025: কালী (Devi Kali) প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছিল ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের পর কালী প্রতিমা প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে গেল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এমনই ভিডিও শেয়ার করেছেন বিধানসভার (West Bengal Assembly) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রাম। শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শেষমেশ মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেল! ছিঃ ছিঃ, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই। গতকাল কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে মা কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে চলে যায় জেহাদিরা। রাজ্য প্রশাসন যথারিতি তৎপরতার সঙ্গে ঘটনা চাপা দিতে সব রকম প্রয়াস করে।’

পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর

পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু লিখেছেন, 'পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও, গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রতিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা না করে পুলিশ গ্রামবাসীদের দমন করার এই অপচেষ্টা করায় হিন্দুরা জেগে ওঠে ও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করায় পুলিশের ওপরমহলে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। কয়লা মামলায় পাঁচ বার ইডি-র তলব পাওয়া নির্লজ্জ বেহায়া সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও, কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালাল। কাকদ্বীপের হিন্দুদের সংঘবদ্ধ লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।'

Scroll to load tweet…

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শুভেন্দুর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। মমতার অপশাসনে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেবদেবীদের প্রতিমা ভাঙচুর, মণ্ডপ ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত কোনও শাস্তি হয়নি। যে কারণে এই ধরনের জেহাদি কার্যকলাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুরা এখনই জেগে না উঠলে, সংঘবদ্ধ না হলে সামনে সমূহ বিপদ।'

Scroll to load tweet…

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।