নতুন সরকার আসার পরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি সরকার
বুধবার জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রার জন্য নরেন্দ্র পুষ্করিণী সরোবরে সকলে জমায়েত করেছিলেন শতাধিক পুণ্যার্থী। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভক্ত আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। সেই বাজির ফুলকি এসে পড়ে বাজির স্তূপের উপরে।
ওড়িশার আঙুলে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, 'বিজেডি শাসনে পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিরাপদ নয়। রত্নভাণ্ডারের চাবি গত ৬ বছর ধরে হারিয়ে গেছে। '
যদিও প্রতিটি মন্দিরের নিজস্ব গোপনীয়তা রয়েছে, তবে আপনি জগন্নাথ মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়ি সম্পর্কিত গোপনীয়তার কথা শোনেননি। আসুন এই মন্দিরের রহস্যময় সিঁড়ি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
ওড়িশার পুরী জেলায় অবস্থিত জগন্নাথ ধামের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এখানে একটি হেরিটেজ করিডোর তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের নামও রাখা হয়েছে শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রকল্প (এসপিপি)।
ভারতের আধ্যাত্মিকতার প্রতি বিদেশিদের আকর্ষণ নতুন কিছু নয়। এবার ইটালির হকি দলের খেলোয়াড়দেরও মন্দির দর্শন করতে দেখা গেল।
সকাল থেকে এদিন জগন্নাথ মন্দিরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন প্রচুর মানুষ । তাঁরা প্রধান প্রবেশদ্বার সিংহদুয়ারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কার্তিক মাসের অমাবস্যা উপলক্ষ্যে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
সম্প্রতি এই মন্দির ঘিরে এমন কিছু পর পর ঘটনা ঘটছে যা আগে কখনও ঘটেনি। এই ঘটনাগুলো রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে সকলের মনে। পরপর এই মন্দিরে কেন এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। একী তবে কোনও মহাপ্রলয়ের ঈঙ্গিত!
জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি প্রতি ১২ বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। আসলে জগন্নাথ মন্দিরে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং বোন সুভদ্রার কাঠের মূর্তি রয়েছে। প্রতি ১২ বছর অন্তর এই মূর্তি বদলানোর প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে।
। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান মন্দিরটিকে ১০ শতক পর থেকে একটি পুরানো মন্দিরের জায়গায় পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল এবং পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের প্রথম রাজা অনন্তবর্মণ দেব দ্বারা এটি নির্মাণ করা হয়েছিল ।