ভোট পর্ব মিটার পরে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। বসিরহাটের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলেকশন পিটিশন করেন তিনি। রেখার অভিযোগ বসিরহাটের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে।
রেখা পাত্রর অভিযোগ হাজি নুরুলের হলফনামায় নৌ ডিউজ সার্টিফিকেট শংসাপত্র ছিল না। তাই তাঁর নির্বাচন বাতিল করতে হবে।
শনিবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে। সেখানেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে বিজেপি কর্মকর্তারা।
রেখা পাত্র বলেন, সময় হলেই সন্দেশখালিতে যাব। আমি চোর নই যে লুকিয়ে থাকব। সময় হলেই সেখানে যাব। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
একদম শেষ দফা, ১ জুন ভোট হয়েছিল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হেরে যান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাজি নুরুলের কাছে।
গণনা কেন্দ্রে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। কিন্তু তিনি গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে রীতিমত তাড়া করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক।
রেখা পাত্র অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ, সন্দেশখালি থাকার পুলিশ তাঁকে হুমকি দিয়েছে। বাড়িতেও হুমকি দিয়েছে বলে দাবি করেন রেখা পাত্র।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল সামনে আনা হয়েছে। এই সব কটা কেন্দ্রে কে জিততে পারে, বিজেপি না তৃণমূল, নাকি বাম কংগ্রেস জোট, সেই ফল দেখলে অবাক হয়ে যাবেন।
ভোটের দিন সকাল থেকেই শান্ত ছিল সন্দেশখালি তথা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র। যদিও আগের রাতে পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে গ্রামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
সন্দেশখালি কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ তিনি। তবে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর থেকেই তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার।