Anubrata mandal News -

অনুব্রতকে ঘিরতে আরও কড়া হচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাজ্যের এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার সম্পর্কে তদন্ত কোন পথে চালিত হবে, কার্যত তা স্থির করতেই দিল্লির সদর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।

গভীর রাতে ইলামবাজারে দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত-র দেহ রক্ষীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত দুই। দুমড়ে মুচড়ে একাকার গাড়িটি। শুধুই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে আছে কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

অনুব্রত মণ্ডলের পাসপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কেষ্টর দাবি, তাঁর পাসপোর্ট নেই। সূত্রের খবর, অবশ্য এই বিষয়ে তৃণমূল নেতার উপর একেবারেই ভরসা নেই তদন্তকারীদের। সেই কারণে এ বিষয়ে জানতে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।

এসএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে ১৭ দিন কাটিয়ে ইতিমধ্য়েই চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেনবীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন কেষ্টর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ওই আইনজীবী এদিন বলেন, শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। তবে কি আবার ভর্তি হবেন অনুব্রত।

' ওকে মেরে ফেলা হতে পারে',অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। যদিও বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার জন্য ইতিমধ্য়েই প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে সিবিআই।

শনিবার বিকেলে সিবিআই দফতরে হাজিরার নোটিস পেয়ে অনুব্রত ইমেল করে জানান, তিনি অসুস্থ, হাঁটতে পারছেন না। চার সপ্তাহ বিশ্রাম নেবেন। তারপর সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিতে পারবেন।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।

যাই হোক দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনুব্রত। আর আজ সেখান থেকে ছুটি পাওয়ার পর বেজায় খুশি তিনি। আনন্দের চোটে হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনি মিষ্টি মুখ করান।

বীরভূমে তাকে সবাই ছোট্ট মুখ্য়মন্ত্রী বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। তাঁকে না বলে পাতাটিও নড়ার সাহস পায় না। হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতার দাপটে অনেকেই থরথর করে কাঁপে। মুশকিল একটাই,অনুব্রত মণ্ডল ওরফে দোর্দন্ডপ্রতাপ কেষ্ট এখন এসএসকেম-র সিটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকতে 'ভয়' পাচ্ছেন।