বুধবার এবারের মতো মরসুম শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। মরসুমের শেষ ম্যাচে ক্লেইটন সিলভাদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখা গেল। দলের খেলায় লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ।
আই লিগ থেকেই ইস্টবেঙ্গল ও বেঙ্গালুরু এফসি-র ম্যাচে তীব্র উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে। আইএসএল-এও এই দুই দলের ম্যাচ মানেই দুর্দান্ত লড়াই।
এবারের আইএস-এ ধারাবাহিকতাই ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় সমস্যা। না হলে হয়তো সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা নিয়ে এত হিসেব-নিকেশ করতে হত না।
রবিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে পরপর ২ ম্যাচে হেরে গেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ফলে কলকাতা ডার্বির আগে প্রচণ্ড চাপে লাল-হলুদ শিবির।
গত কয়েক বছরের বারবার ফুটবল মাঠে ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবার সিনিয়র দল সাফল্য পেলেও, তরুণ দলের জন্য মাঠের বাইরে মুখ পুড়ল লাল-হলুদের।
এবারের আইএসএল-এ ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। এখনও পর্যন্ত পরপর ২ ম্যাচে জয় পেল না কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ফলে সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এবারের আইএসএল-এ বেশিরভাগ ম্যাচেই রেফারিং নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বারবার রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
গত কয়েকটি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো হয়নি। হঠাৎই যেন ফুটবল খেলা ভুলে গিয়েছেন নাওরেম মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গারা। সোমবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধেও ভালো পারফরম্যান্স দেখা গেল না।
আইএসএল-এর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনওবারই পয়েন্ট তালিকায় উপরের দিকে থাকতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এবারও সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জনের আশা কম।
বোরহা হেরেরা ও হেভিয়ের সিভেরিও টোরো দল ছাড়ার পর থেকে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধেও ভালো ফল হল না।