Suvendu Adhikari News -

এদিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে কার্যত হুমকি দেন শুভেন্দু। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন "আমাদের এই গ্রেফতারের পরে ভারতীয় জনতা পার্টির লিগ্যাল সেল হাইকোর্টে যাবে। প্রধান বিচারপতি অর্ডার পাস করেছে যে ব্যক্তিগত বন্ডে অবিলম্বে ছাড়তে হবে। প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপেই বেরতে পারলাম।"

তাঁর পরনের হালকা গেরুয়া পাঞ্জাবিতে কাদামাখা। চোখ-মুখ বিধ্বস্ত। বৃষ্টি আর জলকামানের জলে ভিজে একসা চেহারার ছবি উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। হাওড়া ব্রিজের কাছে মিছিলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপন দাশগুপ্ত।

পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পালটা অভিযোগ ওঠে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নিজেরাই নিজেদের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। সারা দিন কলকাতার নানা এলাকা সাক্ষী থাকল বিজেপি পুলিশ খন্ডযুদ্ধের।

সকাল থেকেই উত্তেজনার পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন নবান্ন অভিযান শেষ হয়েছে। দুপুর ২টো বেজে ৪০ মিনিটে তিনি এই ঘোষণা করেন। কিন্তু তার আগেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল, সাঁতরাগাছি, হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ময়দান, পিটিএস। বাদ যায়নি লালবাজার চত্ত্বরও। পুলিশের জলকামান , কাঁদানে গ্যাসের পাল্টা বিজেপির কর্মীদের আন্দোলন - বিক্ষোভ।

"তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকার, বিশেষ করে রাজ্যের লেডি কিম, পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়াতে পরিণত করেছেন। গোটা রাজ্যের যতরকমের পুলিশ আছে, সিভিক পুলিশ, প্রশিক্ষণে থাকা পুলিশ, সবাইকে রাস্তায় নামিয়েছেন।"

বিজেপির নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে পিটিএস-এর সামনে থেকেই তাঁকে আটক করে কলকাতা পুলিশ লালবাজারে নিয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী।

সাঁতগাছি যাওযার আগে পিটিএসে রাজ্য পুলিশ আটকে দিল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী , বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। যানি বিজেপির দুই নেতৃত্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ।

“নবান্ন অভিযানকে গণ আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। বিরাট সংখ্যায় জমায়েত করতে হবে”, বার্তা দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ঘিরে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িছে পড়ে হুগলির তারকেশ্বরে। নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতির জন্য হুগলির তারকেশ্বর গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাজ্যের বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখায় মহিলারা।

শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে তাঁকেই নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন শুভেন্দু যদি মনে করে অডিও টেপটি নকল তাহলে মামলা করুক অভিষেকের বিরুদ্ধে। তাহলেও অডিও টেপের অডিট হবে।