২০২১-২২ অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ অনুদান পেয়ে রেকর্ড গড়লো ভারতীয় জনতা পার্টি। এবছর তাদের অনুদানের পরিমান ৩৫১.৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিজেপি সব চেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছে প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের থেকে। তারা মোট ৩৩৬.৫০ কোটি টাকা পার্টি ফান্ডে দান করেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দীর্ঘ ৩০০ দিন কাটলেও মাথা নোয়াতে রাজি নয় ইউক্রেন। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে বিদেশ সফরে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি।
পুজোয় ক্লাবগুলিকে রাজ্য সরকারের দেওয়া আর্থিক অনুদান নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির এক অন্যতম হট টপিক এই পুজো অনুদান। যা নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, সমস্ত দল মিলে ১৭৪ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে, যার মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির অংশ ছিল ১৬৩ কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশনও অনেক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে অনেকের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। কমিশন খুঁজে পেয়েছে যেখানে কিছু দল কোনো অনুদান দেয়নি। অথচ তার অ্যাকাউন্ট অডিট দেখাচ্ছে বড়সড় মাপের নগদ লেনদেন হয়েছে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আদালতকে আইনজীবী জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পর্যটন, সাংস্কৃতিক হেরিটেজের উন্নয়ন এবং উৎসবে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সুসম্পর্ক স্থাপনের কাজে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের কাছে তার স্পষ্ট কারণ জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কুণাল বলেন রাজ্যের প্রচুর বকেয়া পাওয়া পড়েরয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেগুলি কিছুতেই দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু তার সঙ্গে পুজো অনুদানের কোনও সম্পর্ক নেই
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলেও পুজো কমিটিগুলো ছাড় পাবে বলে জানান তিনি। এই ঘোষণার পর থেকেই সরব হয় বিরোধী দলগুলি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ সাধারণ মানুষ। একই দিনে এই মর্মে দুটি জনস্বার্থ মামালা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে।
বছর কয়েক ধরে কলকাতা ও জেলার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই সোমবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান সংক্রান্ত ঘোষণা করেন কি না, সেই অপেক্ষাতেই আছে পুজো কমিটিগুলি।