দীর্ঘ ৫০ দিন পরে জেল থেকে মুক্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বেরিয়ে কী কী জানালেন দেখুন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে নির্বাচনী প্রচারে কেজরিওয়ালের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আপ নেত্রী অতীশি বলেছেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিশের রোগী। কিন্তু তাঁকেই তিহার জেল ইনসুলিন দিতে অস্বীকার করছেন।
দিল্লি আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইডি দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধরে নেওয়া যায় যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ষড়যন্ত্র করেছিবেন। অপরাধের অর্থ ব্যবহার ও গোপনে সক্রিয়াভাবে জড়িত ছিলেন।
ভারতের কুখ্যাত জেলগুলির অন্যতম হল তিহার জেলে। সেই তিহার জেলের ২ নম্বর সেলে বন্দি থাকবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও জেলের প্রথম সেলগুলিতে দিল্লির মদকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদেরই রাখা হয়েছে।
রবিবারই দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনসভা থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে সরব হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। কিন্তু আদালতে রেহাই পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। রবিবার রামলীলা ময়দানে জনসভা থেকে কড়া বার্তা দিল ইন্ডিয়া জোট।
AAP-এর আবেদনের শুনানির সময়, বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার আদালত ইডি-র কাছে জবাব চেয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের জন্য কেজরিওয়ালের আবেদনের জবাব দিতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বরানা কান্ত শর্মার বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে। দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার কেজরিওয়াল।
আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিরোধী ঐক্য দেখা যাচ্ছে। বিজেপি-বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে একজোট হয়েছে।