ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। গত সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল তাপ প্রবাহ। তার মধ্যেই শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর।
অগাস্টে দেশের বেশিরভাগ অংশে ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। তবে তামিলনাডু এবং উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ছবিটা কিছুটা আলাদা।
নিম্নচাপের জোড়া ফলায় পশ্চিমবঙ্গে একটানা বেশ কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি দেখা গেছে। তবে, শুক্রবার থেকে সেই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে শনিবার পর্যন্ত প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে বর্ষা আসার আগে পর্যন্ত জারি থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।
লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা এবং উপকূলীয় কর্ণাটকের উপর টানা দুই দিন নির্ধারিত বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। ৮ জুন বা ৯ জুন এসব এলাকায় এমন আবহাওয়া তৈরি হতে পারে, যা বর্ষা শুরুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মূলত তিনটি কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। মোকার প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে বলেও মনে করছে হাওয়া অফিস।
ভারতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে না পরলেও আবহাওয়া দফতর মৎসজীবীদের সতর্ক করেছে। বলেছে, মৎসজীবীরা যেন জাহাজ, ট্রলার, ছোট নৌকাগুলি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে না যায়।
বুধবারেও শহরজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। তাপমাত্রা গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা খানিকটা বাড়লেও নেই গরমের অস্বস্তি।
ঝেঁপে বৃষ্টি হওয়ার দরুন ৪০ ডিগ্রি গরমের হাত থেকে খানিকটা রেহাই পেয়েছে আমজনতা। তবে, এই রেহাই কিন্তু সত্যিই ‘সাময়িক’। আগামী মাসে যে সত্যিই খারাপ দিন আসতে চলেছে, তার সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বেশ কিছু জেলায় টানা ৪-৫ দিন ধরে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।