বৈজ্ঞানিকভাবে যেমন গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্রেও এর গুরুত্ব রয়েছে। এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ কখন ঘটবে, ভারতে তা বৈধ হবে কি না, তা জেনে নেওয়া যাক।
লক্ষ্মীপুজো বা শারদ পূর্ণিমার রাতে অমৃতের বৃষ্টি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়, তাই খীর বা পায়েস খোলা আকাশে রাখা হয় যাতে অমৃতের গুণ পাওয়া যায়, কিন্তু এবার লক্ষ্মীপুজো বা শারদ পূর্ণিমা চন্দ্রগ্রহণের ছায়ায় থাকবে।
সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ উভয়ই অক্টোবরে মাসেই ঘটতে চলেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ১৪ অক্টোবর সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে এবং ২৯ অক্টোবর ঠিক ১৫ দিন পরে চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা, এই বছরের ৫ মে পড়েছে। এই তিথি অনেকগুলি বিশেষ কাকতালীয় যোগ নিয়ে আসছে, যা কিছু রাশি চিহ্নগুলির জন্য খুব ভাল এবং ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ১২ বছর পর সূর্য, বুধ, বৃহস্পতি এবং রাহু মেষ রাশিতে এক সঙ্গে থাকবেন এবং এই সময়ে চতুর্গ্রহী যোগ তৈরি হতে চলেছে। জাতকরা গ্রহণের পরের ১০ দিন বিশেষ সুবিধা পাবেন। আসুন জেনে নেই এই রাশির জাতকদের সম্পর্কে।
গ্রহণকে হিন্দুশাস্ত্র অশুভ বলে ধরা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বা নেগেটিভ শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব মানুষের ওপরেও পড়ে। কিন্তু তারও প্রতিকার হয়েছে হিন্দু শাস্ত্র।
সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলতে হবে। আসুন জেনে নিই পঞ্জিকা অনুসারে ২০২৩ সালে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ কখন এবং কখন ঘটবে।
ভারতে, এই চন্দ্রগ্রহণটি ৮ নভেম্বর নিজেই ৫ টা বেজে ৫৩ মিনিট থেকে দৃশ্যমান হবে এবং সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ১৯ মিনিটে চন্দ্রাস্তের মাধ্যমে শেষ হবে। অর্থাৎ এই চন্দ্রগ্রহণ হবে ভারতে বিকেল ৫টা ৫৩ মিনিটে।
এই চন্দ্রগ্রহণ একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই অবস্থায় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের আলোকে ঢেকে দেয়। আজকের চন্দ্রগ্রহণের নাম দেওয়া হচ্ছে ব্লাড মুন।