আগামী শনিবার রাজ্যে সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা ভোট। জুন মাসের পয়লা তারিখেই বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটে দমদম কেন্দ্র নিয়েই বোমা ফাটালেন তৃণমূল নেত্রী।
যে কোনও দলীয় সভায় বা অনুষ্ঠানে তারকা পরিবেষ্টিত হয়েই থাকেন মমতা। এহেন তৃণমূল নেত্রীর অনুরাগীদের তালিকায় প্রায় দেখাই যায় না যাঁকে, তিনি অপরাজিতা আঢ্য। টলি দুনিয়ার সাড়া জাগানো অভিনেত্রী হয়েও রাজনীতির মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরত্বই বজায় রাখেন তিনি।
যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে জনসভা ছিল তাঁর। সেখান থেকেই কার্যত হুঙ্কার দিতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। বিষদাঁত ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কেন একথা বললেন মমতা, কাকেই বা বললেন, জেনে নিন।
আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। আগামী ১ জুন, পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। শেষ দফা নির্বাচনের আগে বসিরহাটের হাড়োয়া সার্কাস ময়দানের জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট অবশ্য নির্দিষ্ট করে তৃণমূল সরকারের কথা বলেনি। আদালত জানিয়েছে, ২০১০ সালের পরে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। ঘটনাচক্রে ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
চলতি বছরের শুরুতেই সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। যার আঁচ পড়েছিল দেশেও। এবার সেই সন্দেশখালি ইস্যুতেই মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন অভিজিৎ। তমলুকের পদ্ম প্রার্থী বলেন, ‘তোমার হাতে ৮ লাখ টাকা দিলে একখানা চাকরি দাও। ১০ লাখ গুঁজে দিলে আবার অন্য দেশে রেশন হাওয়া হয়ে যায়। এদেশে রেশন থাকেই না। তোমার দর ১০ লাখ কেন?’
বিজপি ক্ষমতায় আছে বলে গায়ের জোরে জেলাশাসক বদলেছিল, পুলিশ সুপার বদলে ছিল। আইসি বদলেছিল। আর ভোট হয়ে যাওয়ার পরে লোডশেডিং করে দিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল।
বাড়ছে বেকারত্ব। এই অবস্থায় সামনে আসে নিয়োগ দুর্নীতি। আরও জ্বালা বাড়ে মানুষের। চাকরি হারা হন ২৬ হাজার যুবক যুবতী। এবার বেকার
দলের নেতা কর্মীদের তিনি রীতিমত থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিলেন! মমতার এ হেন মূর্তিতে থরহরি কম্প সবাই। কিন্তু কী এমন হল, যে ক্ষেপে গেলেন তৃণমূল নেত্রী! জানুন কী হয়েছিল তখন।