বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ সংসদীয় এথিক্স কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, তিক্ত সম্পর্কের কারণে টাকার বিনিময় প্রশ্ন করার বিষয়টিকে ইস্যু করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার সোনকারকে লেখা একটি চিঠিতে, মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন যে সরকারের তরফ থেকে কমিটির অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং ক্ষমতার ভুল প্রয়োগ করা হচ্ছে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার ওই কমিটি মূল দুই অভিযোগকারী অর্থাৎ নিশিকান্ত দুবে এবং জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। তাঁদের বয়ান শোনার পরই মহুয়াকে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে একটি সমন পাঠিয়েছে। কমিটির সম্মত হয়েছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে সেগুলি খুবই গুরুতর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে শশী থারুর বলেছেন, 'আমার জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গীকৃত এবং আমি তাদের জন্য কাজ করি। এই ধরনের ট্রোল যারা সস্তা রাজনীতি করে তাদের জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি উপায় এবং আমি এই ধরনের লোকদের সিরিয়াসলি নিই না।
ডেরের বলেন 'আমরা মিডিয়া রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছি।' তিনি বলেন দলের নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট সদস্যকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
জয় অনন্ত দৌহাদ্রি আইনজীবী। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী দেশে বিদেশে প্রচুর ক্লায়েন্ট রয়েছে। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছে এমএনসি, পিএসইউ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
চাপ বাড়ছে মহুয়া মৈত্রর ওপর। প্রয়োজনে সমন পাঠানোর ইঙ্গিত দিলেন লোকসভার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যানের।
২০১৭ সালে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠান থেকেই তিনি মহুয়া মৈত্রকে চিনতেন বলেও জানিয়েছেন, দর্শন হিরানন্দানি।
পেশায় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার আর রক্তে রাজনীতি-তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সংসদে। বেশ কয়েক বছর বিদেশে কাটিয়ে আসা মহুয়া মৈত্রের জীবন যাপন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত নয় একেবারেই।