হাওড়া স্টেশন থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করল রেল পুলিশ। এই ঘটনায় আরপিএফের জালে এক ব্যক্তি।
রাত ১০ টার পর ফোনে জোড়ে কথা বলা যাবে না। ফোনের ওপার থেকে জোড়ে কোনও কথাও যেন ভেসে না আসে। নাইট বাল্ব ছাড়া অন্য কিছু জ্বালান যাবে না। মিউজিক সিস্টেম বা জোড়ে গল্পও করা যাবে না।
শুক্রবার প্রায় ৪০০-র উপরে ট্রেন বাতিল করল রেল। উত্তর ভারতে ঘনকুয়াশা থাকায় খারাপ আবহাওয়া এবং অপারেশান্যাল মেনটেইননেন্স কারণে এদিন ৪০১ টি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেলওয়ে।
চলতি সপ্তাহের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে বেজায় সমস্যায় পড়তে হবে বহু যাত্রীকে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। একটি কার্গো ট্রেন যেটিতে অ্যামাজন ফেডেক্সসহ একাধিক ই-কমার্স সংস্থার মাল বোঝাই ছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের যাচ্ছিল। কিন্তু শহরের সিটি সেন্টারের কাছেই ট্রেনটিতে হামলা চালান হয়। ট্রেনটি ছাড়ার পরেই দুষ্কৃতীরা ট্রেনে চড়ে। বোল্ট কাটারের মাধ্যমে তালা ভাঙে মালবাহী ট্রেনের ভিতরে ঢুকে অবাধে লুঠপাট চালায়। ডাকাত দলের নজর ছিল দামি সামগ্রীর দিকে।
উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত করতে চলেছে জিআরপি। রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক যাত্রীর কাছ থেকে রেল দুর্ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।
ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হবার পর শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান। যদিও তিনি এদিন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও তদন্তের সময়সীমা এবং কাদের কাদের বয়ান নেওয়া হবে বলে বার্তা দিয়েছেন।
ঠিক কী কারণে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।
রেল কর্তার কথায় কোভিডের কারণে ট্রেনে তেমন কোনও ভিড় ছিল না। প্রতিটা কর্পার্টমেন্ট যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা কম বলেও মনে করছেন তিনি। তবে নাশকতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দূরপাল্লার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের প্রায় ৪ হাজারের বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এছাড়া করোনার হাত থেকে রেহাই পাননি রেলের একাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।