আপনি সুস্বাস্থ্যের বরদান পেতে পারেন এই মাসেই। কার্তিক মাসে বিশেষ কিছু কাজ করতে হবে। আসুন জেনে নিই কার্তিক মাসে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়।
দীপাবলির উৎসবে লক্ষ্মীর বিশেষ পূজা করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দীপাবলিতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করলে জীবনে যশ ও গৌরব বজায় থাকে এবং জীবনে অর্থের অভাব দূর হয়।
“আমি ব্রাহ্মণ নই। কিন্তু ব্রাহ্মণ না হলেও, আমি ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠ। আমি বিশ্বামিত্র গোত্র। পুজো আধিকার সকলের আছে। আমি তাই আজ এখানে লক্ষ্মীকে পুজো করছি।” ধনদেবীর আরাধনা শেষে জানালেন মদন মিত্র।
শুধু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নয়, প্রতি বছর পৌষ মাসে বৃহস্পতিবার মায়ের ধুমধাম করে পূজো করা হয় এই গ্রামে। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বিশেষ মেলাও বসে ঘোষ গ্রামে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ কড়ি কিনতে ছুটে আসে এই মেলায়।
আপনি যদি চান যে লক্ষ্মীদেবী সর্বদা আপনার ঘরে বসে থাকবেন এবং অর্থের অভাব হবে না, তবে আপনাকে আপনার বাড়ির পরিবেশের কিছু উন্নতি করতে হবে।
পুজোর দিন বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মুড়ির মোয়া, নারকেল নাড়ু-র মতো উপাদান। আজ রইল পাঁচটি পদের হদিশ। লক্ষ্মী পুজোয় গুড় দিয়ে তৈরি করুন এই পাঁচটি পদ। দেবীকে প্রসন্ন করতে অবশ্যই তাঁকে ভোগ নিদেন করুন এই মিষ্টিগুলো। দেখে নিন কী কী বানানো হয় গুড় দিয়ে। চাইলে ঘরে বানাতে পারেন এই পদ।
প্রাচীনকালে বাঙালি বণিকরা লক্ষ্মীপুজো শেষে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। সেই সময় জন্ম নেয় একটি প্রবাদ, “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”।
এই মাসে ভগবান বিষ্ণু মৎস্য রূপে জলে অবস্থান করেন এবং তাঁর বামন অবতার পাটলায় থাকেন। তাই মানুষ গঙ্গার তীরে কল্পবাসও করে। কথিত আছে যে যারা কল্পবাস করেন তারা পুনর্জন্মের ফাঁদে পড়েন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই বছর ১০ অক্টোবর থেকে কার্তিক মাস শুরু হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুজো সনাতন ভারতবর্ষের একটি বহু প্রাচীন উৎসব। বৃহদ্ধর্ম পুরাণ সহ বিভিন্ন শাস্ত্রে রয়েছে লক্ষ্মীর উল্লেখ। আবার বৌদ্ধতন্ত্রে দেবী লক্ষ্মীর নাম বসুধারা। জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরের মাতা ত্রিশলা রাতে গজলক্ষ্মীকে স্বপ্নে দেখেছিলেন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি থাকবে ৮ অক্টোবর শনিবার রাত ৩/২৯/৪২ থেকে ৯ অক্টোবর রাত ২/২৫/৫ পর্যন্ত। এই বছর নিষ্ঠা ভরে পুজো করার সঙ্গে পালন করুন কয়টি জিনিস। জেনে নিন লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন, কী করবেন, কোন কোন উপায় ঘটবে আর্থিক বৃদ্ধি।