ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফায় বিধানসভা ভোট চলছে। ইতিমধ্যেই দুই দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। মাও অধ্যুষিত এই রাজ্যে শান্তিতে ভোট করানোর জন্য বেশ কয়েক কোম্পানি আধাসেনা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ভোটের দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ-এর একটি ইউনিট অভিযোগ করেছে, ঝাড়খণ্ডে বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রায় কোনও ব্যবস্থাই করা হচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাদের সঙ্গে 'জন্তু-জানোয়ার'-এর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সিআরপিএফ'এর ২২২তম ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট ব়্যাঙ্কের এক অফিসার রাজ্য প্রশাসন ও দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদর দফতরে এক চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, বাহিনী দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাঁচিতে পৌঁছায়। তারমধ্যে ১৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছে।
কিন্তু রাঁচির খেলগাঁও কমপ্লেক্সে তাঁদের স্থানীয় প্রশাসন কোনওরকম সহায়তা করেনি। রান্নাবান্নার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এমনকী খাওয়ার জল পর্যন্ত মেলেনি। রাঁচির পুলিশ সুপারের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর তাদের জল খাওয়ার জন্য একটি জলকামান পাঠানো হয়। যা দিয়ে আগুন নেভানো হয় বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা হয় তার থেকেই জল খেতে বাধ্য হন আধাসেনার সদস্যরা। আর খাওয়া হিসেবে শুধুমাত্র খিচুরি বানাতে পেরেছেন তাঁরা। তাও উপকরণ জোগার করে বানাতে বানাতে মাঝরাত পেরিয়ে যায়।
তবে ঝাড়খণ্ড পুলিশ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। অ্যাডিনাল ডিজি (অপারেশনস) এম এল মীনা-র দাবি প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা থাকলেও ছিল, দ্রুতই সেগুলির সমাধান করা হয়। রাজ্যে একই সঙ্গে ভোচকর্মী ও সুরক্ষা বাহিনীর চাপ পড়েছে। তাই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মোট ২৭৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রয়েছে। অভিযোগকারী ইউনিটটিই শুধুমাত্র সমস্যায় পড়েছে বলে তিনি অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আগামী ১২, ১৬ ও ২০ তারিখ ঝাড়খণ্ডের শেষ তিন দফার ভোটগ্রহণ করা হবে।