সিরতাং-এর বিপদ এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এখনও পর্যন্ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তারই মধ্যে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল বাংলাদেশের হাওয়া অফিস।
সিতরাং- এর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ প্রশাসন। কিন্তু তারই মধ্যে পরবর্তী ঝড়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। কারণ হাতে আর মাত্র একটা মাস সময় রয়েছে। ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে আরও একটা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে তেমনই জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর । অনেকটা একই কথা বলেছেন বালংদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ এনামুর রহমন। তিনি জানিয়েছেন, আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। আর সেই কারণে এখন থেকেই সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিতরাং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠকেই এই কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান আগামী ডিসেম্বরে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে হতে পারে বংলাদেশকে। তিনি বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। তবে এতদিন আগে পূর্বাভাস দেওয়া নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও সিতরাং নিয়েও দীর্ঘদিন আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে বিস্তারিত তথ্য তারা দেয়নি। বলেছিল এত আগাম পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রেও একই তথা বলেছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
অন্যদিকে সিতরাং-এর কারণে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যু ৩৩ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের। উপকূলবর্তী ১৩টি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রীতিমত ক্ষতি হয়েছে শস্যের।
ঘূর্ণিঝডড সিতরাং সোমবার গভীর রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। কিন্তু ভয়ঙ্কর খারাপ এই আবহাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন। অধিকাংশ মানুষকেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। বাংলাদেশের এক প্রাশাসিক আধিকর্তা জানিয়েছেন ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে। উত্তরে যমুনা নদীতে নৌকাডুবে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন , যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে আর সেই কারণে ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রকের কর্তা কামরুল আহসান এএফপি-কে জানিয়েছেন, দুর্গম দ্বীপ আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে ত্রাণশিবিরে কাটিয়ে এদিন সকালে অনেকেই ফিরে গেছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রবল বৃষ্ট হচ্ছে। সিতরাং-এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে কয়েক মাইল দূরে ঢাকাতেও।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সিতরাং-এর ফলে বরিশাল ও খুলনাতে সোমবারই ৩২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মাদারীপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৩১০ মিলিমিটার। যা ২০১৯ সালের পর সর্বাধিক। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর উপকূলে আছড়ে পড়ে সিতরাং। রাত একটা থেকেই প্রভাব হারাতে শুরু করে।
সাইক্লোন সিতরাং সতর্কতা বাংলাদেশের ১৩টি জেলায়,বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন দুর্গতরা
ঋষি সুনক কি এবার ভারকে ফিরিয়ে দেবেন কোহিনূর হীরা? জল্পনায় শুরু নেটনাগরিকদের মধ্যে
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং বাংলাদেশে প্রাণ কাড়ল ১৬ জনের, বৃষ্টিতে সর্বনাশ হচ্ছে চাষের