রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ ঢাকার, কেন ভারতের এই ইস্যুতে চাপ বাড়ছে হাসিনা-র

৫ অগাস্টই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিতপূজো

তার আগে ফের রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল বাংলাদেশ

তবে এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ক নষ্টের কারণ হবে না বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী

কিন্তু কেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আপত্তি করছে শেখ হাসিনা প্রশাসন

 

amartya lahiri | Published : Jul 27, 2020 6:35 AM IST / Updated: Jul 31 2020, 10:02 AM IST

৫ অগাস্টই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিতপূজো হওয়ার কথা। ঠিক তার আগেই ফের একবার এই রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল ঢাকা। রবিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আঘাত করতে পারে ভারতের এমন পদক্ষেপ করা উচিত নয়। রাম মন্দির নির্মাণের কথা উল্লেখ করে মোমেন অবশ্য বলেছেন, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে দেবে না হাসিনা প্রশাসন। তবে ভারতকেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে বাংলাদেশের সঙ্গে তার 'গভীর' সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে। এই বিষয়টি দুই দেশকেই খেয়াল রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রী।

বস্তুত, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। সিএএ-এনআরসি, দিল্লি দাঙ্গা, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার - পর পর পদক্ষেপে মোদী সরকার ভারতকে দ্বিজাতি তত্ত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই অবস্থায় রাম মন্দিরটি নির্মাণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও, তা বাংলাদেশের মানুষের আবেগেও প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদিদের প্রভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধীরা নতুন রাজনৈতিক সুযোগ পেয়ে যেতে পারে, বলেই হাসিনা প্রশাসন অসন্তোষ প্রকাশ করছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রীকে গত সপ্তাহে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে একে আবদুল মোমেন-এর দাবি দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় অস্বাভাবিক কিছুই উঠে আসেনি। এটা একেবারেই সৌজন্য কথোপকথন ছিল বলে তাঁর দাবি। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে ফোন করে, তাতে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয় এবং এই নিয়ে সংবাদমাধ্যম বাড়াবাড়ি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ইমরান ও হাসিনার মধ্যে শুধুই কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মোমেন দাবি করলেও, পাকিস্তান বলেছে ইমরান খান কাশ্মীরের বিষয়টি তুলেছিলেন। কাশ্মীর ইস্যুতে এখনও বাংলাদেশ নীরবতা বজায় রেখেছে।

Share this article
click me!