দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মহম্মদ এরশাদ। কিছুদিন আগে ফুসফুসে সংক্রমণ, কিডনির সমস্যা এবং রক্তে হিমগ্লোবিন কম হওয়ার কারণে কারণে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। দীর্ঘ ১০দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর অবশেষে রবিবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
তাঁর জন্ম হয় কোচবিহারে। স্নাতকের পর তিনি যোগ দেন পাক সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি পাকিস্তানেই ছিলেন। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউল রহমানের উদ্যোগে তাঁকে সেনা উপ প্রধানের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। তবে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউল হকের খুনের ঘটনায় এরশাদ জড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেনছিলেন খালেদা জিয়া।
বন্যা ও ভুমিধসের জেরে নেপালে মৃত ৪৩, নিখোঁজ প্রায় ২৪
এরপর ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে পরাস্ত করে দেশে সেনাশাসন জারি করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন ১৯৮৩-'৯০ পর্যন্ত। পর অবশ্য গণ আন্দোলনের চাপে পড়ে এ কদিন তাঁকেও সরে আসতে হয়। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, আর্থিক তছরুপ এবং মহিলাকেন্দ্রিক নানা বিতর্কেও নাম জড়িয়েছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর।