করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই লকডাউনে চলছে। আর তারফলে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে সব দেশেই। ইতিমধ্যে ভারতে লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটি মানুষ। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বড় আঘাত আসতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সেই দেশের অর্থনীতিবিদরা। তবে এর মধ্যেই একটা বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। গত এক দশকে সম্পদশালীর সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতিগুলিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক পরামর্শ দানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ এক্স সম্প্রতি গত এক দশকে বিশ্বের ধনী জনগোষ্ঠীর সম্পদ পর্যালোচনা ও আগামী ১০ বছরের সম্পদ বণ্টন কেমন হবে, তার ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছে। ‘আ ডিকেড অব ওয়েলথ’ শীর্ষক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ধনকুবেরের (৫০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদের অধিকারী) সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৪.৩ শতাংশ হারে।
চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা সীমান্ত উত্তেজনায় মেজাজ ভাল নেই 'বন্ধু' মোদীর, খবর রাখছেন ট্রাম্প
গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক দশকে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে ছোট-বড় অর্থনীতির মিশ্রণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ রয়েছে এশিয়ায়। প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে ৬টি এশিয়ার। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। উভয় দেশেই তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ও আঞ্চলিক উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে অর্থনৈতিক প্রসার ঘটেছে।
যাঁরা ৫০ লক্ষ ডলারের বেশি সম্পদের অধিকারী তাঁদের ধনকুবের বলা হয়েছে সমীক্ষায়। এই হিসেবে ভিয়েতনামে ৫০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদের অধিকারী ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গত ১০ বছর ধরে গড়ে ১৩.৯ শতাংশ হারে। চিনে ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৫ শতাংশ, আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার বৃদ্ধির হার ১৩.১ শতাংশ, ফিলিপিন্সে ১১.৯ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ১০.৬ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডে ৮.৭ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। ধনী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানও। দেশটিতে ৭.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ধনকুবেরের সংখ্যা। এরপরেই রয়েছে আয়ারল্যান্ড, দেশটিতে বৃদ্ধির হার ৭.১ শতাংশ।
বিদেশের মাটিতে অক্ষত অবস্থায় চাপা পড়ে ৯০০ শতাব্দীতে তৈরি শিবলিঙ্গ, উদ্ধার করল এএসআই
ওয়েলথ এক্সের গবেষণায় বলা হয়েছে, গত দশকটা ছিল ধনীদের দশক। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বে ধনী ব্যক্তি ও তাদের সম্পদের পরিমাণ দুটিই বেড়েছে দ্রুত গতিতে। শতাংশের দিক দিয়ে তা ৫০ শতাংশেরও বেশি। ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে আড়াই কোটিতে পৌঁছেছে। ২০০৫ সালে বিশ্বের মোট ধনীর ১৮.৬ শতাংশ ছিল এশিয়ায়। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। ওয়েলথ এক্সের এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এশিয়ায় ৫০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদশালী মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে।