করোনা রুখতে রাজ্যের কড়াকড়ি নিয়ম চালু হতেই টলিপাড়ার অন্দরের চিত্র নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে কি ফের বন্ধ হতে চলেছে ছবি-ধারাবাহিকের শুটিং নাকি যেমন চলছে তেমনটাই চলবে। এই নিয়ে টালামাটাল অবস্থা টলিপাড়ায়।
করোনা মোকাবিলায় ত্রস্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। একটানা প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় মানুষের স্বাভাবিক জনজীবনকে গ্রাস করেছেন করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে প্রতিনিয়তই আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ না কেউ। একলাফে যেন করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টার চেয়ে দ্রুত হারে। যা নিয়ে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে কলকাতার পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটজনক। তবে করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে লাগাম টানতে আজ থেকে কড়াকড়ি পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। ফের করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছে একাধিক নিয়ম। যেখানে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকতে চলেছে। শুধু তাই নয় ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হলগুলি খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের বেশি জমায়েতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
করোনা রুখতে রাজ্যের কড়াকড়ি নিয়ম চালু হতেই টলিপাড়ার অন্দরের চিত্র নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে কি ফের বন্ধ হতে চলেছে ছবি-ধারাবাহিকের শুটিং নাকি যেমন চলছে তেমনটাই চলবে। এই নিয়ে টালামাটাল অবস্থা টলিপাড়ায়। তবে নয়া নির্দেশিকায় শুটিংয়ের ব্যাপারে কোনও উল্লেখ নেই। তাই আগামী দিনে শুটিংয়ের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও তথ্য নেই। নবান্ন থেকে যে নির্দেশিকা বের হয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত সিরিয়াল বা সিনেমা নিয়ে আলাদা কোনও উল্লেখ নেই। তবে নির্দেশিকা মতোই সমস্ত কিছু মেনেই কাজ করা হবে। আর্টিস্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্দেশিকায় কী কী বন্ধ থাকবে তা পরিস্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং ৫০ শতাংশ নিয়ে কী কী খোলা থাকবে তাও বলা হয়েছে। আগেরবার যখন এই পরিস্থিতি এসেছিল তখনও কম লোক নিয়ে শুটিং চলেছিস। সুতরাং আবারও যখন একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখন কঠোর নিয়মবিধি মেনেই শুটিং করতে হবে। তবে ফোরামের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আলোচনা চলছে, খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-Mohit-Mahadev Raina Wedding : গোপনে বিয়ে সারলেন মহাদেব, চিনে নিন রিয়েল লাইফ পার্বতীকে
গত বছরও করোনার বাড়বাড়ন্তে লকডাউনের জেরে বহু ছবির মুক্তি বন্ধ হয়েছিল। এমনকী ছবির শুটিংও বন্ধ হয়ে গেছিল। করোনার দুই ঢেউয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিল টলিপাড়া। একের পর এক তারকারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বন্ধ হয়েছিল ছবি মুক্তি। প্রচুর ছবিও আটকে ছিল। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কমতেই বেশ কিছু আটকে থাকা ছবির ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজকরা। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তে ফের কোপ পড়ল ছবি মুক্তিতে। এককথায় টলিপাড়ায় ফের চিন্তার ভাঁজ। যেমন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি 'ধর্মযুদ্ধ'। দুবছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছিল অবশেষে। গত বছর এপ্রিলেই 'ধর্মযুদ্ধ' মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক করেছিল পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা পিছিয়ে যায়। তারপর আবারও চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেও ছবি মুক্তির ঘোষণা করে রাজ। তারপরও তা পিছিয়ে যায়। তবে করোনার জন্য ফের ছবি মুক্তির দিনক্ষণ পিছনো হচ্ছে। বাংলা ছবি 'আবার বছর কুড়ি পরে' ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি। আবার 'বাবা বেবি ও'-মুক্তির কথা ছিল চলতি মাসের ৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু করোনা জন্য সমস্ত ছবির মুক্তির দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।