সম্প্রতি শহর কলকাতার প্রেস ক্লাবে মুক্তি পেল 'ব্রুটা' শর্ট ফিল্মের ট্রেলর এবং গান। উপস্থিত ছিলেন, ছবির পরিচালক বাবাই সেন, রুপাঞ্জনা মিত্র,সুরজিত সেন , চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়, রণদীপ সরকার, অমিতাভ ভট্টাচার্য আরও অনেকে। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন, রুপাঞ্জনা মিত্র এবং সুরজিত সেন।
আরও পড়ুন, শরীর বদলালেও ছোঁওয়াটা একই থাকে, বাকিটা বলবে দ্বিতীয় পুরুষ
এছবির পরিচালক বাবাই সেন জানালেন, একটা বহরমপুর যাওয়ার পথেই এই শর্ট ফিল্মের আইডিয়াটা আসে তাঁর কাছে। ছবির নামকরণ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, 'ব্রুটা' আসলে একটি ইটালিয়ান শব্দ। যার মানে কুৎসিত। আর মানুষের মনের ভিতরের সেই কুৎসিত দিক গুলিকেই আলোর পথ দেখাতে এই ছবির ভাবনা। ছবিতে সাইক্লোজিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুপাঞ্জনা মিত্র। সুরজিত সেন ছবিতে এখানে যার জীবনে নানা ভাবে যন্ত্রনায় জর্জরিত। নিউজ পেপার পড়লেও যার কাছে সমাজের ভয়ঙ্কর নৃশংস-কুৎসিত ঘটনা গুলি চোখে পড়তেই অস্বাভাবিক আচরণ করে ওঠে। হয়তোবা অতীত তাঁকে আজও তাড়া করে নিয়ে বেরায়। আর তাঁর মনের গভীরে ঢুকে আবার নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়ে আসে সাইক্লোজিস্ট রুপাঞ্জনা। তবে ডিপ্রেশন তো নানা কারণে হয়। তাই মনখারাপ হলে সবার আগে বন্ধু বা মা-বাবাকে জানানো উচিত। কাউকে শেয়ার করলেই মন হালকা হয় , জানালেন রুপাঞ্জনা। সুরজিত সেনও জানালেন, বাস্তবে অভিনয় জীবনেও আসে প্রচুর প্রতিকূলতা। অনেকসময় শিল্পীর জীবনেও অজান্তে হানা দেয় ডিপ্রেশন। তবে এছবির গান 'কোন দেশে তোমার ঠিকানা হায়রে আমি কিস্য়ু জানি না' বেশ অন্য়রকম। গানই প্রাণ ফিরিয়ে দেবে পাথর জমা বুকে।
আরও পড়ুন, প্রতিবাদের মূলই অস্ত্রই কাগজ-কলম-বই, কলকাতা বইমেলাতে সিএএ নিয়ে সরব স্বরা
অপরদিকে ব্য়াঙ্গালুরু একটি নামজাদা প্রতিষ্ঠানে গ্র্য়াজুয়েশন শেষ করে আকাশ ছোওয়া চাকরি পেতে পারতেন এই ছবির পরিচালক বাবাই সেন। কিন্তু তিনি জানালেন, একটা সময় তাঁর জীবনের হতাশা আশে, তাই ভাললাগার জায়গা হিসেবে ফিল্মকেই ক্য়ারিয়ার হিসেবে বেছে নেন। উল্লেখ্য় তাঁর লেখা বই 'যোগ কথা' ২০০০ সালে জাতীয় স্তরে সোনার পদক প্রাপ্ত। আর তারপরই অনেকটা ব্য়বধান হলেও সেরা বিষয়টা বেছে নিয়েই নতুন করে জীবন শুরু করলেন 'ব্রুটা' ছবির পরিচালক বাবাই সেন।