
বেক্সিট-কে অবলম্বন করেই পেয়েছিলেন বিপুল জনপ্রিয়তা। ব্রিটেনের কট্টরবাদীদের পছন্দের শীর্ষে ছিলেন তিনি। কিন্তু, অতিমারির সময় থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়াতে থাকেন বরিস জনসন। পরিস্থিতি অনেক সময়ই তাঁর বিদায়কে ইঙ্গিত করলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। নিজের ক্যাবিনেটের একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে চাপে পড়ে ইস্তফা দিলেন বরিস জনসন। জানিয়ে দিলেন কীভাবে নতুন প্রাইম মিনিস্টার না আসা পর্যন্ত তিনি কাজ চালাবেন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনসন বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টারি বিভাগ নতুন প্রাইম মিনিস্টারকে বেছে নেবে। আর এই প্রাইম মিনিস্টার বাছা হবে অক্টোবরের মধ্যে। ততদিন পর্যন্ত তিনি কেয়ার টেকার প্রাইম মিনিস্টার হিসাবে কাজ চালাবেন।
৫৮ বছরের বরিস জনসন বৃহস্পতিবার সকালেই প্রাইম মিনিস্টার পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে সহমত ছিলেন না ক্যাবিনেটের বহু মন্ত্রী। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঋষি সুনক। যারা ইস্তফা বরিস-এর ক্যাবিনেট থেকে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগকে নিশ্চিত করেছিল।
বরিস জনসন তাঁর বিদায়ী ভাষণে বলেছেন, পরের সপ্তাহ থেকেই টোরি লিডারশিপ পরবর্তী প্রাইম মিনিস্টারকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। গত তিন বছর ধরেই একের পর এক বিতর্কে সমানে জড়িয়েছেন বরিস জনসন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বেক্সিট, এরপর ব্রিটিনের বুকে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর কৌশল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, এই নিয়েও বিতর্কে জড়ান তিনি। এরপরও তিনি একাধিক বিতর্কে জড়ান। এত বিতর্ক স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টার পদে তাঁর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে থাকে।
Boris Johnson Resigned: চাপে পড়ে পদত্যাগ ঘোষণা বরিস জনসনের, বিদায় বক্তৃতায় বলেন 'আমি চেষ্টা করেছি'
কে এই ঋষি সুনক., যার এক ইস্তফাতে পতন হল জনসনের সাম্রাজ্যের
জানা গিয়েছে বরিসের উত্তরসূরি হিসাবে দুই নেতাকে বেছে নেবে কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার তাদের উপরে দলের মধ্যে ভোটাভুটি হবে। সেখান থেকেই নির্বাচিত হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। যিনি বরিসের স্থানে ব্রিটিনের নয়া প্রাইম মিনিস্টার হিসাবে স্থালাভিষক্ত হবেন। এই পুরো প্রক্রিয়া অক্টোবর মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
বরিস জনসনের ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার। তবে, ব্রিটেনের বিরোধী দলনেতার দাবি, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব কতটা আস্থাশীল তা জানাটা সবচেয়ে বড় দরকার, আর এর জন্য নো-কনফিডেন্স মোশন আনা উচিত ছিল। এখানেই পরিষ্কার হয়ে যেত কনজারভেটিভ পার্টির ভবিষ্যত। আর অবশ্যই নো-কনফিডেন্স মোশন-ই প্রমাণ করতে সক্ষম ছিল যে ব্রিটেন এই মুহূর্তে জেনারেল ইলেকশন চায়। কনজারভেটিভ পার্টির উপর থেকে ব্রিটেনবাসীর আস্থা উঠে গিয়েছে বলেও দাবি করেন স্টারমার।