ছয় সপ্তাহ আগে ব্যালেটের শেষ রাউন্ডে ঋষি সুনাক ১২০ জন এমপির সমর্থন পেয়েছিলেন।তা সত্ত্বেও জনসাধারনের একাংশের বিশ্বাস বরিসের নেতৃত্ব এনে দেবে ব্রিটেনের নির্বাচনে টোরি দলের জয়। ঋষি নাকি বরিস কে বসবেন ব্রিটেনের মসনদে ?
টোরি দলের প্রতিনিধি বরিস জনসন ২০১৯ সালে সখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ব্রিটেনের মসনদে বসেছিলেন। তার এই পূর্ববর্তী বিজয় অনেকের মনেই ধারণা জুগিয়েছে যে ২০২৩ এর সাধারণ নির্বাচনে ,তার নেতৃত্ব এনে দেবে টোরি দলের জয়। জনসাধারণের এই বিশ্বাসের পূর্ণ মর্যাদা রাখতেই এখন মরিয়া বরিস। নিজের ছুটির সংখ্যা কমিয়ে এখন রাত - দিন তিনি করছেন পার্টির কাজ। এমনকি সমর্থকদের উদেশ্যে বার্তা দিয়েও তিনি বলেন " আগামী নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুত "
২৪ সে অক্টোবর প্রথম ব্যালটে ১০০ জন এমপির সমর্থন পাবার জোরকদম লড়াই এখন থেকেই চলছে বিভিন্ন শিবিরে । এর মধ্যেই জল্পনা যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পার্টিগুলি এখন ছক কষছে এমপি কেনার । ছয় সপ্তাহ আগে ব্যালেটের শেষ রাউন্ডে ঋষি সুনাক ১২০ জন এমপির সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু কোথাও রবিসের পদত্যাগ ও লিজ ট্রাসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনায় এই বিষয়টি একেবারে ধামা - চাপা পরে যায়। ওদিকে পেনি মরডান্টের আচরণেও স্পষ্ট যে তিনি যুদ্ধ বিনা ছাড়বেন সুচাগ্র মেদিনি।এর পাশাপাশি আবার লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ের স্ট্যামার বলেন যে "আসন্ন নির্বাচন একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ নয় বরং ব্রিটেনের অভ্যন্তরে এখন যে বিশৃখলার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে নির্বাচন করাটাই বেশ ঝুঁকির। "
রবিসের সমর্থক সংখ্যা যথেষ্ট হলেও কিছু সংখ্যক ব্রিটেনবাসী আবার তাকে সমর্থন করতে নারাজ। তাদের দাবি এর আগে কোভিড বিধি লঙ্ঘন ও সংসদে মিথ্যে বলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। এমনকি নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাকে জরিমানাও দিতে হয়েছিল বিস্তর। এহেন প্রশাসককে বিশ্বাস করে তার হাতে প্রশাসন তুলে দেওয়া তা কি ঠিক হবে সেনিয়েও বিস্তর পর্যালোচনা চলছে একাংশ ব্রিটানীবাসীর মধ্যে। তবে এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আসনে ঋষি নাকি বরিস তা জানতে আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন এই তিনটি কারণেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়লেন লিজ ট্রাস? মাত্র ৪৫ দিনের প্রধান তিনি
আরও পড়ুন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে পদত্যাগ লিজ ট্রাসের