দুই কন্যার সাক্ষাৎ। সেই ফ্রেমই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে একজন হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে ধন্যবাদ জানান অন্য জনকে। একজন নোবেল জয়ী মামালা ইউসুফজাই। অন্যজন জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। পৃথিবী বিখ্যাত দুই কন্যার যুগলবন্দি ছবি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি মার্গারেট হলের একটি বেঞ্চে।
পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সুইডেনের ১৭ বছরের কন্যা গ্রেটা থুনবার্গ বর্তমানে রয়েছেন ব্রিটেনে। সেখানেই পড়ুশুনা করেন মামালা। কাজের ফাঁকে মালালার সঙ্গে দেখা করেন গ্রেটা।
আরও পড়ুনঃ মাতৃত্ব থেকে রাজপাটের দায়িত্ব, একা হাতেই সামলান এই রাজকন্যা
জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ও সচেতনা বাড়াতে স্কুল ছেড়ে আন্দোলেনর পথে নেমেছেন সুইডিশ কিশোরী। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছেন। তাঁর বক্তব্য যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে তাতে আর বেশিদিন পৃথিবীর স্বাভাবিক চরিত্র বজায় থাকা সম্ভব নয়। ক্রমশই বিপন্ন হয়ে পড়ছে আধুনিক সভ্যতা। এই অবস্থায় স্কুলে গিয়ে পড়াশুনা করে কী লাভ? এই প্রশ্ন তুলেই স্কুলের পড়া ছেড়ে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই পথে নেমেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর নাম মনোনীত হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য।
আরও পড়ুনঃ 'ভারতে থাকা ২০ কোটি মুসলিম ওদের লক্ষ্য়', ঝোঁপ বুঝে কোপ মারলেন ইমরান খান
আর মামালার গল্প একদমই উল্টো। ২০১৪ সালে নারী শিক্ষার জন্য লড়াই করেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন পাক তরুনী মামালা ইউসুফজাই। ২০১২ সালে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় তালিবান জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে মালালাকে। জঙ্গিরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর জখম হন মামালা। কিন্তু তারপরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি। বর্তমানে নোবেল জয়ী মামালা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি মার্গারেট হলের ছাত্রী।
আরও পড়ুনঃ লজ্জার শিরোপা ভারতের, বিশ্বের দূষিত শহরগুলির দুই-তৃতীয়াংশ রয়েছে এদেশে
লেডি মার্গারেট হলেই পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে নিজেকে গর্বিত বোধ করছেন বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন কলেজের এক শিক্ষক। আর মামালা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন গ্রেটাই একমাত্র বন্ধু যার জন্য তিনি স্কুলের পথ এড়িয়ে যেতে রাজি।