করোনার নতুন স্ট্রেন সংক্রমণের সঙ্গে বাড়াতে পারে মৃত্যুও, দেশে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে লাগবে ২৪ ঘণ্টা

  • করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে গবেষণা
  • ব্রিটেনের গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য 
  • মৃত্যুর হারও বাড়িয়ে দিতে পারে নতুন প্রজাতি 
  • দেশে ৬টি পরীক্ষাগারে চলছে পরীক্ষা 

Asianet News Bangla | Published : Dec 24, 2020 4:44 PM IST

ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের স্ট্রেন নিয়ে সামনে এল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে নতুন করোনা স্ট্রেন থেকে সংক্রমণের মাত্রা যেমন দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে যায়। তেমনই আগামী দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে করোনার নতুন প্রজাতি। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন ও ট্রপিক্যাল মেডিসিনে সংক্রমক রোগের গাণিতিক মডেলিং-এর কেন্দ্রে দেখা গেছে অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় এই রূপটি ৫৬ শতাংশ সংক্রামক যোগ্য। তবে এটি কতটা গুরুতর হতে পারে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনও তথ্য হাতে আসেনি বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। 

ব্রিটেনের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপটি আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভালেন্স জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রোটিনকে প্রভাবিত করার মত নতুন স্ট্রেনটি ২ ডজন মিউটেশন মজুত রয়েছে। সেই কারণেই করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসক মহলে। তবে ইতিমধ্যেই ব্রিটেশ করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে যা কিছুটা হলেও সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী। অন্যদিকে নতুন এই স্ট্রেনের সন্ধান ব্রিটেন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্কসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে পাওয়া গেছে।  

প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড়দিনের ভাষণই হাতিয়ার, নতুন কৃষি আইন নিয়ে ভাবমূর্তি উদ্ধারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি ...

কৃষকদের স্বার্থেই কৃষি আইন আনতে চেয়েছিল কংগ্রেস, সনিয়া গান্ধীর পুরনো ভিডিও ভাইরাল ...

তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত নতুন করোনা স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে নতুন করোনা স্ট্রেন নিয়ে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্ডিয়ান সায়েন্টিফিক কাউন্সিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের প্রধান শেখর ম্যান্ডে জানিয়েছেন নতুন স্ট্রেন নিয়ে দেশবাসীর সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। তবে মিউট্যান্ট স্ট্রেনের সন্ধানে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগুলির ফল প্রকাশ হতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। দেশের ৬টি ল্যাবে জিনোম সিকোস্টেন্সি পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। সমস্ত ল্যাবগুলিতে নমুনা পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সবথেকে বেশি হলে এক থেকে দুই দিন সময় লাগতে পারে পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসতে। তবে টিকাকরণ শুরু হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কেটে যাবে বলেও আশা দিয়েছেন তিনি। 

Share this article
click me!