সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বরিস জনসন বলেন, "আমি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই আফগানিস্তানের জন্য একটি সমাধান বের করতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রয়োজন হলে অবশ্যই তালিবানের সঙ্গেও আমরা কাজ করব।"
তালিবান সরকারকে পৃথকভাবে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছিল ব্রিটেন। কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখনই আফগানিস্তান নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ব্রিটেন। আর এবার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে প্রয়োজনে তালিবানদের সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বরিস জনসন বলেন, "আমি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই আফগানিস্তানের জন্য একটি সমাধান বের করতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রয়োজন হলে অবশ্যই তালিবানের সঙ্গেও আমরা কাজ করব।"
আরও পড়ুন- প্রতিরোধ গড়ছে তালিবান বিরোধী জোট, পুনরুদ্ধার ৩ জেলা
১৫ অগাস্ট আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবানরা। একের পর এক প্রদেশের দখল নেয় তারা। অবশেষে কাবুল দখল করে সেই বৃত্ত তারা পূর্ণ করে। সেই থেকেই তালিবানদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের মানুষরে মধ্যে। দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তাঁরা। হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন বিমানবন্দরে। বিমানের মধ্যে জায়গা না পেয়ে কেউ নিজেকে বেঁধে নিয়েছিলেন বিমানের চাকার সঙ্গে। কেউ আবার উঠে পড়েছিলেন বিমানের মাথায়। মাঝ আকাশে বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। তবে বিমানবন্দরের সেই পরিস্থিতিটা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন।
আরও পড়ুন- খসে গেল 'ভাল তালিবান'এর মুখোশ - হাত-চোখ বেঁধে গুলি করে 'ক্ষমা' পুলিশ কর্তাকে, দেখুন
বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত সেই দেশ থেকে মোট ১ হাজার ৬১৫ জনকে নিরাপদভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৯৯ জন ব্রিটেনের বাসিন্দা, ৩২০ জন দূতাবাসের কর্মী ও ৪০২ জন আফগান রয়েছেন।"
তবে শুধুমাত্র ব্রিটেনই নয়, তালিবানদের পাশে রয়েছে চিন, পাকিস্তান ও রাশিয়া। আফগানিস্তান প্রসঙ্গে চিনের তরফে জানানো হয়েছে, "তালিবানকে সম্মান করুন। এখনই চাপ দেবেন না। আগের তালিবানের সঙ্গে এখনকার তালিবানের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখন ওরা অনেক বেশি স্পষ্ট ও বাস্তবিকভাবে ভাবছে।" এরপর চিনা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন বলেন, "আফগানিস্তানকে নতুন করে গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা নেবে বেজিং।" পাশাপাশি পাকিস্তানের বিশ্বাস যে তালিবান পরিপূর্ণ সরকার গঠন করবে। পাকিস্তানের আফগান রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমেদ খান জানান, তাঁরা তালিবানের সঙ্গে কথা বলছেন। আগেও কাতারে তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। আফগানিস্তান নিয়ে চিনের সুরই শোনা গিয়েছে রাশিয়ার গলায়। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন, পূর্বতন আফগান সরকারের শাসনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কাবুল অনেকটাই নিরাপদ হয়ে উঠেছে।