'GDP ফিরে পাওয়া যাবে কিন্তু মানুষের জীবন নয়', অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে মন্তব্য কেভি সুব্রমনিয়ামের

Published : Jan 29, 2021, 06:23 PM ISTUpdated : Jan 30, 2021, 06:05 PM IST
'GDP ফিরে পাওয়া যাবে কিন্তু মানুষের জীবন নয়', অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে মন্তব্য কেভি সুব্রমনিয়ামের

সংক্ষিপ্ত

অর্থনীতিক সমীক্ষা নিয়ে মন্তব্য প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার  লকডাউন সফল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি  লকডাউনের কারণে সংক্রমণ রুখে দেওয়া গেছে  মানুষের প্রাণ বাঁচানোই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য ছিল 


জিডিপি ফিরে পাওয়া যাবে। কিন্তু মানুষের জীবন একবার চলে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রমনিয়াম এই মন্তব্য করেন। সংসদে যৌথ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অর্থনীতিক সমীক্ষা পেশ করার পরই তা জনসমক্ষে আনেন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। তখনই তিনি কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন,মানবিক নীতিমালা থেকে শুরু করেন দেশের মহাকাব্যগুলিতেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, মানুষের জীবন বাঁচানোই সব থেকে বড় ধর্ম। 


কেন্দ্রীয় প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ভারত যে নীতিগত প্রতিক্রিয়া নিয়ে এসেছিল তা পরিপক্ক ও দূরদর্শী।  দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য ভারত স্পল্পমেয়াদীস যন্ত্রণা সহ্য করেছিল।তিনি আরও বলেন দেশব্যাপী লকডাউন সহ মহামারির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপ করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাকে ১ লক্ষের গণ্ডীর মধ্যেই এখনও পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে। তিনি এই অর্থিক সমীক্ষাকে মহামারি মোকাবিলায় অগ্রণী শ্রমিকদের প্রতি সমর্পণ করেছেন। তিনি বলেন প্রথম দিকে   কঠোর লকডাউন শুধুমাত্র বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই কার্যকর করা হয়নি, এই উদ্দেশ্য ছিল একই সঙ্গে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সক্ষম করে তোলা। 

ট্র্যাক্টর ব়্যালি নিয়ে কংগ্রেস নেত্রীর দাবি কি সত্যি, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার ভাইরল ভিডিও ঘিরে উঠছে প্রশ্ন.

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১ঃ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে যে ৭টি ক্ষেত্রে জোর দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী .


সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভারত স্বল্পমেয়াদী বাণিজ্য ও জীবীকার মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে একটি জয়ের লক্ষ্যকে রুপান্তরিত করেছে। যা জীবন ও জীবিকা উভয়কেই বাঁচিয়ে তুলতে সক্ষম। সমীক্ষা অনুমানগুলিকে প্রকডক সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে দেখায় যে ভারত কোভিড -১৯র মোকাবিলা করে কী করে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে পেরেছে। সমীক্ষায় বলা গয়েছে উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, বিহারে এই রোগের প্রাদুর্ভাব যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। কেরল তেলাঙ্গনা আর অন্ধ্র প্রদেশ সর্বাধিক জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে সবথেকে বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে মহারাষ্ট্র। কারণ এই রাজ্যের আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশি। 

২৫মার্চ-৩১ মে পর্যন্ত জাতীয় লকডাউন কার্যকর ছিল। লকডাউন আরোপকারী দেশগুলির মধ্যে ভারতের ছিল প্রথম, যখনে এই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০০। লকডাউন করোনাভাইরসের প্রসার আর শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছিল। অর্থনীতিক জরিপে অনুমান করা হয়েছে, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া চলতি অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতি ৭.৭ শতাংশ সংকোচন হয়েছিল। পরবর্তী অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি ১১ শতাংশ হতে পারে। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

মানি ম্যানেজমেন্ট: রবার্ট কিয়োসাকির ধনী হওয়ার ৫টি গোল্ডেন রুলস, জেনে নিন টিপস
India Italy Business: ইতালি–ভারত অর্থনৈতিক সহযোগিতা হবে আরও জোরদার? SIMEST এবং আইসিসি-র মধ্যে সমঝোতা চুক্তি