সোমবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন ২০২২ (Budget Session 2022)। আইনী কার্যকলাপ এবং জনসাধারণের উদ্বেগের বিষয়গুলি আলোচনা করার জন্য বরাদ্দ ৭৯ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন ২০২২ (Budget Session 2022)। এবারের অধিবেশনে, রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সাংসদরা, আইনী কার্যকলাপ এবং জনসাধারণের উদ্বেগের বিষয়গুলি আলোচনা করার জন্য ৭৯ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় পাবেন, অর্থাৎ, নির্ধারিত ১৩৫ ঘন্টার প্রায় ৬০ শতাংশ। অধিবেশনের দুই ধাপে মোট ২৯ বার সভা বসবে। তবে, প্রথম দুই দিন নির্ধারিত রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেট পেশের জন্য। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু (M Venkaiah Naidu), আসন্ন বাজেট অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য, সোমবার বিকেল ৫টায় বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন।
৩১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বাজেট অধিবেশন ২০২২-এর প্রথম ধাপ। মোট ১০ বার সভা বসবে, সময় পাওযা যাবে মোট ৪০ ঘন্টা। এরপর, ১৪ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিলের মধ্যে অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ১৯ বার সভা বসবে, সময় বরাদ্দ আছে ৯৫ ঘন্টা। বাজেট অধিবেশনের প্রথম ধাপে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা এবং সাধারণ বাজেট আলোচনা প্রাধান্য পাবে। দ্বিতীয় দিনে, ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এর অনুলিপি শীঘ্রই রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বাজেট বিতর্কের জবাব দেবেন। এরপর হবে বাজেটের উপর একটি সাধারণ আলোচনা।
কোভিড-১৯ প্রোটোকলের (Covid-19 Protocols) অধীনে একসঙ্গে লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভা বসবে না। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টে পর্যন্ত হবে রাজ্যসভার কাজ, আর বিকাল ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে লোকসভা। জিরো আওয়ারে (Zero Hour) সাধারণত এক ঘন্টা ধরে চলে। আসন্ন অধিবেশনে এর সময় কমিয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে। জনহিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উত্থাপন এবং সরকারী নথিপত্র ও প্রতিবেদনগুলি পেশ করার জন্য অধিবেশনে মোট ১৩:৩০ ঘন্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হবে কোয়েশ্চন আওয়ার (Question Hour)। অধিবেশন চলাকালীন ছয় দিনে মোট ১৫ ঘন্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেট মেম্বার্স বিজনেসের (Private Members’ Business) জন্য। অধিবেশনের দ্বিতীয় ধাপে, প্রথম সপ্তাহের শুক্রবারে ছুটি থাকায়, প্রাইভেট মেম্বার্স বিল (Private Members’ Bills) তোলা হবে বৃহস্পতিবার।
আসন্ন বাজেটে, সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি খাতের বিষয়েও বেশ কিছু সংস্কার করতে পারে সরকার, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। চলতি কোভিড-১৯ মহামারী এবং করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপান্তরের কারণে সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে, কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরির সময় এই খাতে সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিতে পারে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ থেকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত বছর, সরকার কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রেকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল। শিল্পমহল মনে করছে, এই বছরও একই ধরণের বরাদ্দ পাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্র।