পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: বিজেপি-র প্রতিনিধিকে নিয়োগ করেছেন।' রাজ্যপালের নির্দেশকে উপেক্ষা করে নিজেদের পছন্দমতো লোককেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে বসাল শিক্ষা দপ্তর। এমনকী, সহ-উপাচার্য যে আচার্য দ্বারাও মনোনীত, চিরাচরিত রীতি ভেঙে সেকথারও উল্লেখ নেই নিয়োগপত্রে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক আশিস পাণিগ্রাহী।
আরও পড়ুন:৮ তারিখ বাংলায় অমিত শাহ-এর ভার্চুয়াল সভা, রাজ্যে কি বেজে গেল বিধানসভা ভোটের দামামা
পদাধিকার বলে রাজ্যের সরকারের অধীনস্থ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। যখন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্যের পদটি খালি হয়, তখন উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে রাজ্যপালের কাছে তিনটি নাম পাঠানো হয়। একজন মনোনীত করে নিয়োগে সিলমোহর দেন রাজ্যপাল। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সেই ব্যক্তিকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নিয়োগপত্রও লেখাও থাকে যে, তিনি রাজ্যপাল তথা আচার্যের মনোনীত ব্যক্তি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটল।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের সূত্রপাত সোমবার বিকেলে। সেদিন সহ-উপাচার্য পদে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম চন্দকে নিয়োগ করে রাজ্যপাল। নিয়মাফিক সেই ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষাদপ্তর। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, 'রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধিকে নিয়োগ করেছেন। এই সিদ্ধান্ত কোনও মতেই মানব না।' বাস্তবে হলও তাই।
আরও পড়ুন: শালবনে 'পতঙ্গ সমাবেশ', পঙ্গপালের আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়ায়
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া সহ-উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক হিসেহে কর্মরত ছিলেন। জানা দিয়েছে, সোমবার রাতে তাঁর নিয়োগপত্র বিকাশভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।