বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দার্জিলিং, কাঙ্গরা, অসম ও নীলগিরি চায়ের সঙ্গে আমদানি করা চা পাতা আর মেশানো যাবে না। এই সব চায়ের গুণগত মান ও সুনাম বজায় রাখতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে।
এমন একটি খবর যা চা প্রেমীদের(Tea Lover) হৃদয় কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন করতে পারে। অনেকেই লিকার চায়ের(Premium Indian Tea) সঙ্গে একটু ফ্লেভার পাতা(Imported Tea) মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। এই মিশ্রনে একদিকে যেমন কড়া চায়ের স্বাদ পাওয়া যায় সেই সঙ্গে আসে সুন্দর একটা ফ্লেভার। কিন্তু হায়! এই সুখ যে আর সইবে না কপালে। সকাল-বিকেল খবরের কাগজ হাতে বা টিভি দেখতে দেখতে কখনও বা গল্পের আসরে কড়া স্বাদের সুন্দর ফ্লেভার চায়ের মজা খুব বেশিদিন উপভোগ করা যাবে না। সৌজন্যে, বাণিজ্য মন্ত্রকের কড়া নির্দেশিকা। হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের(The Commerce Ministry) তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দার্জিলিং(Darjeeling), কাঙ্গরা(kangra), অসম(Assam) ও নীলগিরি(Nilgiri) চায়ের সঙ্গে আমদানি করা চা পাতা(Premium Indian Tea) আর মেশানো যাবে না। এই সব চায়ের গুণগত মান(Inferior Quality) ও সুনাম বজায় রাখতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, দেশে কোনও চা আমদানি করা হলে বিক্রির সময়ে প্যাকেটের গায়ে তার উৎসের কথা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। সেই চা-কে কোনও ভাবেই ভারতীয় বলা যাবে না।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে চা রপ্তানির জন্যও আমদানি করা হয়ে থাকে। সেই চায়ের সঙ্গে আবার কখনও মিশিয়ে দেওয়া হয় সিটিসি চায়ের পাতা। তবে আমদানি করা সেই চায়ের পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু চা শিল্পের একাংশ অভিযোগ জানিয়ে বলেছিল, ভৌগোলিক স্বীকৃতিযুক্ত দার্জিলিং চায়ের মতো চায়ের সঙ্গে আমদানি করা চা বিশেষ করে নেপালের থেকে যেটা আমদানি হচ্ছে সেটা মেশানোর ফলে তার গুণগত মান অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। ফলে যারা প্রকৃত দার্জিলিং চায়ের স্বাদ পেতে চান অনেক সময় তা থেকে বঞ্চিত হন।
Non Veg Food-এই শহরে আর প্রকাশ্যে বিক্রি করা যাবে না মাছ-মাংস, জারি নয়া নিয়ম
কেন্দ্রও জানিয়ে দিয়েছে, দার্জিলিংয়ের চা শিল্প জিআই এলাকার বাইরের কোনও চা পাতা কিনতে পারবে না। দার্জিলিং, কাঙ্গরা, অসম ও নীলগিরি চায়ের সঙ্গে আমদানি করা কোনও চা মেশাতে পারবেন না চা ব্যবসায়ীরা। ভারতের যে চা বিক্রি করা হয় সেখানেও কোনও ডিস্ট্রিবিউটর তার সঙ্গে সস্তার ও নিম্নমানের আমদানি করা কোনও চা মেশাতে পারবেন না। আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে চায়ের উৎস দেশের নাম ইনভয়েসে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো টি বোর্ড(Tea Board) এ দিন চারটি সার্কুলার প্রকাশ করেছে।