দীর্ঘদিন এই দূরত্বনীতি বাজয় পালন করতে করতে মানুষ যেন হাঁফিয়ে উঠেছে। তাই আজ যেন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই প্রিয় মানুষটার একটু কাছে যেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠছে। আর ঠিক সেই কারনেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কন্ডোম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ক্যারেক্স বেরহ্যাড আশা করছে এবার কন্ডোম বিক্রির পরিমান হু হু করে বাড়বে।
বিগত দু-তিন বছরে অতিমারি করোনার প্রকোপে (Covid 19) মানুষের মধ্যে এক দূরত্বনীতি তৈরি হয়েছিল। একে অপরের কাছে আসা তো দূর, সামান্য কথা বলার ক্ষেত্রেও দূরত্ব বজায় রাখা ছিল অত্যন্ত জরুরি। তারপর ধীরে ধীরে এই মহামারির প্রতিশেধক হিসাবে বিভিন্ন টিকাকরণের পর এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু তার মাঝেই ফের বাঁধ সাজল চিনে নতুন করে করোনার প্রকোপ। তার মাঝেই মোটামুটি সকল বয়সের জন্য টিকাকরণের (Covid Vaccination) ফলে আজ কিছুটা হলেও করোনার থাবা থেকে স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। আর দীর্ঘদিন এই দূরত্বনীতি বাজয় পালন করতে করতে মানুষ যেন হাঁফিয়ে উঠেছে। তাই আজ যেন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই প্রিয় মানুষটার একটু কাছে যেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠছে। আর ঠিক সেই কারনেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কন্ডোম (Condom) প্রস্তুতকারী কোম্পানি ক্যারেক্স বেরহ্যাড (Karex Berhad)আশা করছে এবার কন্ডোম বিক্রির পরিমান হু হু করে বাড়বে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থা ক্যারেক্স বেরহ্যাড সম্প্রতি জানিয়ছে, করোনার টিকাকরণের পর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম খানিকটা হালকা হয়েছে। সেই জন্যই সংস্থার তরফে আশা করা হচ্ছে এবার কোম্পানির কন্ডোম বিক্রির পরিমান বৃদ্ধি পাবে। গত সোমবার মালয়েশিয়ার এই কোম্পানি ক্যারেক্স বেরহ্যাড তাদের আয় প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বজুড়ে টিকাকরণের হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি খানিকটা শিথিল হওয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থাও স্থিতিশীল হচ্ছে। মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে জীবনে ফিরতে চলেছে। দূরত্ববিধিকে কিছুটা ছাড় এখন একে অপরের কাছাকাছি আশার পালা। আর সেই জন্য পরোক্ষভাবে কন্ডোমের বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বজুড়ে যে ধরনের স্বাস্থ্যবিধি তৈরি হয়েছিল সেখানে যৌনতার কোনও জায়গা ছিল না। স্বাভাবিকভাবে সেই প্রভাব এসে পড়েছে কন্ডোম বিক্রির ওপর।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কন্ডোম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ক্যারেক্স বেরহ্যাড ৬৭০ হাজার ডলার ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছিল। কন্ডোম নির্মাতা সংস্থার দাবি অনুযায়ী, কাঁচামালের উপর দাম বৃদ্ধি, কোভিডের বিধিনিষেধের জন্য সরবারহ ব্যহত হওয়ায় ১১ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমে গিয়েছিল। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কন্ডোম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ক্যারেক্স বেরহ্যাডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এক বিবৃতিতে জানান, অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে গত দুবছরে কন্ডোমের ব্যবহার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। করোনার প্রকোপে সমস্ত কোকন্ডোমের কোম্পানিগুলোও কন্ডোপের প্রচার সেই সময় বন্ধ করে দেয়। করোনার মাত্রাতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তের সময় বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন ঘোষণা করে দেয়। সেই সময় অনেক কন্ডোপ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছিল তাদের বিক্রি সেই সময় বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছেছিল। কিন্তু তারপর সেই বিক্রিতে ঘাটতি শুরু হয়। তবে এখন বিক্রিবাটা ফের ভালোর দিকেই এগোচ্ছে।