রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের সম্পত্তির একাংশ বিক্রির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র। DIPAM জানিয়েছে, এই সংস্থা দুটির কিছু সম্পত্তি বিক্রির জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ইকোনমিক পলিসি সামিট(Global Economic policy Summit)। সেই সামিটের মঞ্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে আরও ৬ টি রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সবুজ সংকেত মিলেছে। এবার অনেকটা সেই রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের ক্ষেত্রেও। যতদূর জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের সম্পত্তির একাংশ বিক্রির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রের লগ্নি এবং সরকারি সম্পদ পরিচালনা দফতর(Investment and Public Asset Management)বা DIPAM জানিয়েছে, এই সংস্থা দুটির কিছু সম্পত্তি বিক্রির জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। ন্যূনতম দর ধরা হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ দফতরের সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে ট্যুইটারে জানিয়েছেন, MSTC পোর্টালে বিএসএনএল ও এমটিএনএলের বিড আউটের ছয়টি সম্পত্তির প্রথম সেট দিয়ে নন-কোর অ্যাসেট নগদীকরণ শুরু হয়। সুত্রের খবর অনুযায়ী, টেলিকম সংস্থাগুলোর সম্পত্তি বিক্রির মূল্যও স্থির করে ফেলেছে সরকার। ১,১০০ কোটির আসেপাশেই চূড়ান্ত হয়েছে সম্পদ বিক্রির মূল্য। ১৮ নভেম্বর টেলিকম সংস্থা এমটিএনএলের শেয়ার মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০.৭০ । চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩০.৪ শতাংশ বেড়েছে টেলিকম সংস্থা এমটিএনএলের।
এ দিন DIPAM-র তরফে জানানো হয়েছে,কলকাতা, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় ও ভাবনগরে বিএসএনএলের ওই সব সম্পত্তির ন্যূনতম মোট দর ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। এমটিএনএলের ক্ষেত্রে তা ৩১০ কোটি। বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানান, প্রথম পর্যায়ের এই প্রক্রিয়া দেড় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করাই তাঁদের লক্ষ্য। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ মিত্র অবশ্য DIPAM-র মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া কার্যকরের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন,সংস্থাগুলি নিজেরাই সম্পত্তি বিক্রি করলে সেই বাবদ অর্থ সরাসরি তাদের হাতে আসত। কিন্তু কেন্দ্রের কোষাগারে সেই অর্থ জমা পড়লে কবে বিএসএনএল তার ভাগ পাবে তা নিশ্চিত নয়। টেলিকম দফতরের কাছে তাঁদের প্রাপ্য ৩৯,০০০ কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন-Excise Duty-সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর,ইমর্পোটেড মদের ওপর আবগারি শুল্ক কমাল মহারাষ্ট্র সরকার
তবে দীপমের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের (বিএসএনএলইইউ) অভিযোগ, মোদী সরকার দেশে ৫জি, ৬জি নিয়ে সওয়াল করলেও বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু করা নিয়ে ঢিলেমি করছে। ভবিষ্যতে সংস্থার টাওয়ার ও অপটিক্যাল ফাইবার (OFC) বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিক্রির পরিকল্পনা করে সংস্থাকে আরও রুগ্ন করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।