তিনটি পর্যায়ে হয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি, মেন ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে হয় সফল প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) ও ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) বাছাই করা হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
নতুন বছরের শুরুতেই ফের দেশবাসীর কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে করোনা (Corona)। আর এর জেরে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। কোনওভাবেই যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অনেক বিষয়ই। তার মধ্যে অন্যতম হল বিভিন্ন পরীক্ষা (Exam)। এই পরিস্থিতিতে সিভিল সার্ভিস মেন পরীক্ষা (Civil Services 2021 Exam) নির্দিষ্ট সময় হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। যদিও অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মনের চিন্তা দূর করে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Union Public Service Commission) তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পরীক্ষা নির্দিষ্ট সূচি মেনেই হবে।
এনিয়ে ইউপিএসসি-র তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সিভিল সার্ভিসেস মেন পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ তা জানুয়ারির ৭, ৮, ৯, ১৫ ও ১৬-তে হবে। পাশাপাশি এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যাতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি রাজ্যগুলিকে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ই-প্রবেশপত্র (e-admit cards),পরিচয়পত্রগুলি (Identity card) যাতায়াতের পাশ হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই ইউপিএসসি-র তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনটি পর্যায়ে হয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি, মেন ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে হয় সফল প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) ও ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) বাছাই করা হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিভিল সার্ভিসেস (মেন) পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) আবেদন করেছিলেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। আবেদনপত্রে তাঁরা জানিয়েছিলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে এর ফলে এই মুহূর্তে এই পরীক্ষআ পিছিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ পরীক্ষার বেশিরভাগ কেন্দ্রই রয়েছে শহরে আর সেখানে মানুষের সংখ্যাও অনেক বেশি। তাই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি রয়েছে সেখানে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষায় বসাটা তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক বড় ঝুঁকির। কারণ পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে তাঁদের উপযুক্ত টেস্ট হবে না। সামান্য প্যারাসিটামল খেলেই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরীক্ষার্থীদের। সেই ক্ষেত্রে অনেকেই সংক্রমণ নিয়েই পরীক্ষা দিতে আসবেন। এভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। তার জেরে সমস্যায় পড়তে হবে বহু মানুষকেই। এমনকী, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও। তাই আদালত যেন এই আবেদন ভেবে দেখে। তবে এখানেই শেষ নয়। তাঁদের আরও দাবি ছিল, এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছেন তাঁদের কাছে এটাই পরীক্ষায় বসার শেষ সুযোগ, সেই কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হলে তাঁরা নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য আরও অনেকটা সময় পেয়ে যাবেন। যদিও ইউপিএসসি-র তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনেই হবে।