সিঙ্গুর আর ডোমজুড়ে 'শাহী' রোডশো, রাজীব ও রবীন্দ্রনাথের হয়ে ভোটের হাল ধরলেন অমিত

  • বর্ণাঢ্য রোডশো অমিত শাহর 
  • সিঙ্গুর আর ডোমজুড়ে রোডশো
  • প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য 
  • দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে 


রাজ্যে ভোট প্রচারে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ। বুধবার তিনি সিঙ্গুর ও ডোমজুড়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোডশো করেন। দুটি মিছিলেই জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাসে একাধিকবার শ্লথ হয়ে যায় গাড়ির গতি। অমিত শাহও গাড়ি থেকে ফুল ছুঁড়ে উৎসাহী জনতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। 


রাজ্যরাজনীতিতে রীতিমত গুরুত্বরূপ্ণ ডোমজুড় ও সিঙ্গুর। দুটি কেন্দ্রই ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। দুটি কেন্দ্রেরই তৃণমূলের বিধায়ক এবার বিধানসভা যুদ্ধে সামিল হয়েছেন বিজেপির জার্সি গায়ে দিয়ে। এখন প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা কী ঘরে রাখতে পারবেন নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্র? 

বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের অনেক আগেই দল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেড়েছিলেন মন্ত্রিত্বও। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর দেখান পথেই চলে গিয়েছিলেন পদ্মবনে। দুবারের মন্ত্রী তিনি ছিলেন তিনি। কিন্তু সেচ দফতর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই কালীঘাটের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল রাজীবের। যার ফলস্বরূপ তাঁর এই দল পরিবর্তন বলেও মনে করে অনুগামীরা। তবে স্থানীয়দের কথা ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের নিজের ভাবমূর্তি  তৈরি করেছেন তিনি। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় অনুগামীও রয়েছে তাঁর। এই দুইকে সঙ্গী করেই বিজেপির পতাকা নিয়ে গড় রক্ষার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন রাজীব। রোডশো শেষে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে স্থানীয় এক রিকশা চালকের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন অমিত শাহ। রিকশা চালকও বিজেপির সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচত। অমিত শাহ বলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের বিষয়ে তিনি একশো শতাংশ নিশ্চিত। বিজেপি ২০০ আসন পেয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করে বলে আরও একবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। 

কেন এখনই সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নয়, কেন্দ্রের এই নীতির কারণ জানালেন রাজেশ ভূষণ ...

ভোট প্রচারে বুড়ো আঙুল করোনা-স্বাস্থ্যবিধিকে, পরিণতি নিয়ে আশঙ্কা স্বাস্থ্য কর্তার

অন্যদিকে ২০০৭ সাল থেকেই রাজ্যরাজনীতে গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গুর আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকরণ দখলের পথ প্রশস্থ করেছিল। সেই সময় থেকেই তৃণমূলের রাজনৈতিক সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। স্থানীয়দের কাছে তিনি মাস্টারমশাই। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে বয়সের কারণ দেখিয়ে তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তারপরেই তিনি শিবির বদল করে চলে যায় বিজেপিতে। সেখানে গিয়েই টিকিট পেয়ে যান। কিন্তু দল বদলের আগেও সিঙ্গুর ইস্যুতে একাবিধকার মন্তব্য করেছিলেন মাস্টারমশা। সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করেছিলেন। ঘনিষ্ট মহলের ধারনা যা ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি প্রবীণ মাস্টারমশাইকে টিকিট দেওয়াতেও দলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এদিন অমিত শাহের রোড শো বলছে অন্যকথায স্থানীয় ও বিজেপি কর্মীসমর্থকদের উপছে পড়া ভিড়ে নির্বাচনে ভালো ফলেই আশাই করছে সিঙ্গুর।  

Share this article
click me!

Latest Videos

ফের TMC Councilar-এর দাদাগিরি, বাগুইআটির পর এবার নরেন্দ্রপুর, মারধোর করে লুট দেড় লক্ষ টাকা
‘TMC-র জন্য West Bengal-এ Bangladeshi মৌলবাদীদের কোন বাধা নেই!’ তৃণমূলকে তোপ Adhir Ranjan Chowdhury
'মৌলবাদীরা কলকাতা দখল করলে দায়ী থাকবে মমতা', বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury-র
গোপন অভিযানে ফের সাফল্য! Ranaghat পুলিশের কবলে Bangladeshi অনুপ্রবেশকারী | Bangladesh Immigrants
পার্সেল দেওয়ার নাম করে নাবালিকার সঙ্গে এইরকম করলো! ভয়াবহ ঘটনা Serampore-এ | Hooghly News Today