শেষযাত্রায় কাছে ছিল না পরিবার, করোনাভাইরাসে মৃতের শেষকৃত্য স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে

  • তেলাঙ্গনায় করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্য স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে
  • মৃতের পরিবারে হোম কোয়ারেন্টাইনে
  • তেলাঙ্গনায় করোনা আক্রান্ত ৭০
  • জমায়েত হতে নিষেধ মুখ্যমন্ত্রীর

Asianet News Bangla | Published : Mar 30, 2020 7:38 AM IST

কথায় আছে আসেতে একা, যেতেও একা। সেই প্রবাদই সত্যি হল তেলাঙ্গনার প্রয়াত বৃদ্ধের ক্ষেত্রে। শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৪ বৃদ্ধের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। তারপর থেকে আর বৃদ্ধের দায়িত্ব নিয়ে অস্বীকার করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাসপাতাল কর্মী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বস্থ্য কর্মীরাই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের পাকিস্তানে সেনা, মৃত্যু বেড়ে ১৭

আরও পড়ুনঃ রেঙ্গুন থেকে সেদিন এইভাবেই চারলাখ মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন বিপদ মাথায় করে

যদিও তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু হলে শেষযাত্রায় যেন ২০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত না থাকেন। পাশাপাশি লকডাইউনের সময় কোনও অনুষ্ঠানেই ২০ জনের বেশি মানুষকে এক জায়গায় জড়ো না হওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন।  কিন্তু তারপরেও ৭৪ বছরের বৃদ্ধের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তেলাঙ্গনা প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে মৃতের আত্মীয় ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই বর্তমানে রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। বাড়ি বন্দি হয়েই দিন কাটছে তাঁদের। কারণ তাঁদের পরিবারের এক সদস্য আক্রান্ত ছিলেন করোনাভাইরাসে। তাই মৃতের পরিবারের সদস্যরা আর বাড়ি থেকে বার হননি। তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় জানতে পেরেছিলেন তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। 

তেলাঙ্গনায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। গোটা দেশেই আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে। এপর্যন্ত এদেশে আক্রান্ত হয়েছে ১,০৭১ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তবে সুখবরও রয়েছে, কারণ এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১০০ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। 

 

তবে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে রীতিমত কড়া সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছেন কেসিআর। তিনি অভিবাসী শ্রমিকদের এলাকা না ছাড়াতে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি লকডাউনের সময় তাঁদের খাদ্য ও আশ্রয়ও সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে প্রত্যেক অভিবাসী শ্রমিককে ৫০০ টাকা ও ১২ কেজি চাল অথবা গম দেওয়া হবে। 
 

Share this article
click me!