সরকার মার্চ মাস থেকে ১২-১৮ বছর বসয়ীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে বেলও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে এই ভারতে এই বয়সের জনসংখ্যা ৭.৫ কোটি। এই বয়সীদেরও দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকার করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে মার্চ মাসেই শুরু হয়ে যেতে পারে ১২-১৪ বছর বয়সীদের (12-14 age group) টিকাকরণ (Vaccination)। কারণ বর্তমানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৫-১৮ বছর বসয়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পেয়েছে। সেই কারণে আগামী মার্চ মাস থেকেই ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার তেমনই জানিয়েছেন নীতি আয়োগ ও কোভিড -১৯ (Covid-19)ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ডক্টর এনকে অরোরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান তুলে বিশেষজ্ঞ এনকে আরোরা জানিয়েছেন ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সংখ্যা প্রায় ৭.৪ কোটি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৭ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা দেওযা হয়েছে। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে এই গ্রুপের সদস্যদের দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হবে। এই বয়সের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে টিকা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানুয়ারির মাষের শেষের দিকে এই বয়সের সদস্যরা প্রায় সকলেই টিকা পেয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদী।
তাই সরকার মার্চ মাস থেকে ১২-১৮ বছর বসয়ীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে বেলও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে এই ভারতে এই বয়সের জনসংখ্যা ৭.৫ কোটি। এই বয়সীদেরও দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকার করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার যে রিপোর্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হাতে এসেছে তা হল গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ লক্ষের বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। মোট লংখ্যা ১৫৭.২০ কোটি। সরকারী তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১৫-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩.৪৫ কোটির বেশি কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
গত বছর ১৬ জানুয়ারি দেশে টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। টিকা কর্মসূচি এক বছর পূর্ণ করেছে। প্রথম দফায় স্বাস্থ্য কর্মী ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। তারপরই বয়স্কদের দীর্ঘ দিন রোগেভোগা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এপ্রিল মাসে ৪৫ বছরের উর্ধ্বোদের টিকাকর্মসূচির আওতায় আনা হয়। মে মাসে ১৮ বছরের বেশিদের টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। চলতি বছর ৩ জানুয়ারি ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে ওমিক্রনের কারণে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ । বিশেষজ্ঞদের কথায় দেশে আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ। এই অবস্থায় দাঁড়িযে টিকা কর্মসূচির ওপরই জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। মাস্ক পরা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে।
Parliament Covid-19: বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদে করোনা থাবা, আক্রান্ত ৪০০ কর্মী
Omicron in India : ওমিক্রনের হাত ধরেই কী বিদায় নেবে অতিমারি, সঙ্কটকালে শোনা যাচ্ছে নতুন আশার কথা