ফের নতুন করে করোনা আক্রান্ত এই শহরে। এবার ৬৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের শরীরে মিলল সংক্রমণ। ফলে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে দাঁড়াল ১০। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে তাই গোটা দেশকে লকডাউন করা হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে গোটা শহরকে। আর তাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে এখন অন্য ছবি।
শহর কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ১৯২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিটেনের মহারানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে এই ভবনটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। কলকাতার পরিচয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রয়েছে মহারানির এই স্মৃতিসৌধ। দেশ-বিদেশ থেকে এশহের ঘুরতে আসা বহু মানুষ ভিড় জমান ভিক্টোরিয়া দর্শনে। সবসময় জমজমাট থেকে গোটা চত্বর। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আঁচে এবার ফাঁকা রানির বাড়ি। গত ১০০ বছরে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল এখানে।
মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র আমেরিকা, করোনা আক্রান্ত সব দেশকেই লকডাউনের পরামর্শ 'হু'র
গৃহবন্দি দেশবাসী, কী ভাবে সময় কাটাবেন বাড়িতে, থাকল কিছু টিপস
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২১ দিনের লকডাউন গোটা দেশে, দেখে নিন এর মধ্যেও মিলবে যেসব পরিষেবা
৬৪ একর জিমর উপর লন, পুকুর, গাছ ও লতাপাতায় ঘেরা বিশাল উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এখন একেবারে পুরোপুরি জনমানবহীন। খাঁ খাঁ করছে গোটা চত্বর। ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন ময়দানের ছবিটাও একই রকম। শহরের মাঝখানে যেন তেপান্তরের মাঠ। অন্যান্য সময় কিছু না হলেও এখানে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় লেগে থাকে। আজ কেবল দর্শন পাওয়া গেল একটি ঘোড়ার। মানুষ নামের প্রাণীটিকে এভাবে ঘরবন্দি হতে দেখে এরাও বোধহয় যারপরনায় অবাক। ভিক্টোরিয়া ঘুরকে এসে ফিটন গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আজ গৃহবন্দি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জীব।
তবে গোটা শহর লকডাউন থাকায় বায়দূষণ কমছে কলকাতায়। জনতা কার্ফুর দিনই তার প্রমাণ মিলেছে। আগামী কয়েকদিন এমন অবস্থাই থাকবে তিলোত্তমার। কলকাতায় বায়ু দূষণের ফলে শহরের গর্ব ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে বর্তমানে মলিনতার ছোঁয়া লেগেছ। আগামী কয়েকদিন শহর লকডাউন থাকায় বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমবে কলকাতায়। ফলে দূষণের হাত থেকে আপাতত রেহাই পাবে কলকাতার গর্ব।