ঘনবসতি পূর্ণ এই অঞ্চলে করোনা মোকাবিলা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ
Asianet News Bangla | Published : Apr 13, 2020 10:13 AM IST / Updated: Apr 13 2020, 03:48 PM IST
প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বাস এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে। এখানকার ঘিঞ্জি এলাকায় যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে এলাকার প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপল কর্পোরেশন। এর মধ্যেই সোমবার নতুন করে এলাকায় করোনা সংক্রমণের খবর মিলল। এদিন ৪ জনের শরীরে করোরা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ২ জন ধারাভির গুলমোহর চাউলের বাসিন্দা। ফলে ধারাভি বস্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭।
তবে কেবল নতুন করে সংক্রমণ নয় এদিন ধারাভিতে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। মৃত ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর। তিনি নেহেরু চাউল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফলে এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫।
ধারাভির করোনা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তার জন্য এখন থএকেই এই বস্তিতে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বিলি করার পরিকল্পনা করছে মহারাষ্ট্র সরকার৷ আক তা হলে মহারাষ্ট্রই হবে প্রথম রাজ্য যে করোনা ঠেকাতে আগে থেকেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিতে শুরু করতে চলেছে৷ এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে সবাইকে এই ওধুষ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার৷
চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোলোকুইন৷ ধারাভিতে সংক্রমণ রুখতেও সবাইকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চালাচ্ছে সরকার৷ মহারাষ্ট্র সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, আমরা সবাইকে ঢালাও দেব না৷ রিস্ক ক্যাটেগরিতে ভাগ করে ওষুধটি দেওয়া হবে৷ আপাতত কত জনকে কতটা পরিমাণ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখছে সরকার৷ প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে আইসিএমআর ও কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার৷ সূত্রের খবর, ধারাভি এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতেই এই ওষুধ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে৷
এদিকে সোমবার মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২ হাজারের গণ্ডি ছাপিয়ে গেল। এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে সোমবার নতুন করে ৮২ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। যার মধ্যে ৫৯ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা।