পৃথিবী জুড়ে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করোনা। যাকে বাগে আনতে দিনরাত এক করছেন তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। কী করে জব্দ হবে করোনা। এখনও আবিষ্কার হয়নি প্রতিষেধক। এই অবস্থায় রীতিমত জল্পনা তীব্র গরমের হাতে পড়েই কাবু হবে করোনাভাইরাস। এই তথ্য কী সত্য? তারই উত্তর দিলেন দিল্লির এমস হাসপাতালে ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তারও সদস্য তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, প্রাথিমিক প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা গেছে তীব্র গরমে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না করোনভাইরাস। তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে তো বেঁচে থাকা সম্ভবই নয় এই জীবানুর পক্ষে।
কিছুটা দেরীতে হলেও গরম পড়তে শুরু করেছে। দিনে বাড়ছে তাপমাত্রা। উত্তর ও মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি। কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি। কলকাতাতেই তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান। কিন্তু তা বলে এখনও করোনভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়ার কারণ নেই। কেন, তাও জানিয়েছেন এমসের চিকিৎসক।
এখনও এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে নিষেধ করেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে আমরা বেশিক্ষণ বাড়়ি বা অফিসে থাকি। বাইরে বা রাস্তায় কাটাই খুব কম সময়। তাই আমাদের শরীরে যদি জীবানু প্রবেশ করে তবে ৪০ ডিগ্রি সিলসিয়াসে মরে যাবে। কিন্তু জীবানু নিয়ে যদি আমরা ঘরে বা অফিসে থাকি তবে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বেশিরভাগ বাড়ি বা অফিসেই এয়ারকন্ডিশানিং মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁর মতে বাইরে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকলেও বাড়ির ভিতরে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আগেই অবস্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখানে তীব্র গরম জব্দ করতে পারবে করোনাভাইরাসকে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের মতও একই রকম। আইসিএমআর-এর প্রধান জানিয়েছেন তাপমাত্রার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোনও যাগাযোগ রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনও।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার, সনিয়া গান্ধি চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবার কি হাতিয়ার হবে ড্রোন, সেই পথেই লক্ষ্মৌর বিজ্ঞানী
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট, তাতেই জানা যাবে আপনার শরীরে করনোভাইরাস রয়েছে কি
তবে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির একদল গবেষক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সঙ্গে করোনার জীবানু ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চর্চা করেছেন। তবে তাঁরা এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি যেখানে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে বলা যাবে যে প্রবল গরম আর আর্দ্রতা করোনাভাইরাসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। এমআইটির গবেষকরাও গ্রীষ্মকাল করোনার পক্ষে চ্যালেঞ্জের এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন।